• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে খানাখন্দ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০১ অক্টোবর ২০২০, ২২:৩১
Dhaka-Tangail Highway, Khanakhand
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে খানাখন্দ

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চারলেন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এরমধ্যেই বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। আর এ কারণে মহাসড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। গাড়ির চাপ বাড়লেই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।

জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে গোড়াই ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ। এতে যানবাহন চলাচলের সময় গোড়াই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় ৪'শ গজ সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ বছর এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি অতিবৃষ্টির কারণে নির্মাণাধীন মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এ খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের সোহাগপাড়া ও নাজিরপাড়া এলাকায় গিয়ে এই খানাখন্দ দেখা গেছে। এসব খানাখন্দের মধ্য দিয়েই ঝুঁকি নিয়েই নিয়মিত যানবাহন চলাচল করছে। এসব গর্তের পানি ও পাথরকুচি যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে পথচারীদের শরীরে গিয়ে লাগছে। এছাড়া যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন যানবাহনের শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীরা।

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে সরকার যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ করে। এরপর থেকে এ মহাসড়কে টাঙ্গাইল জেলাসহ প্রায় ২৬টি জেলার যানবাহন চলাচল শুরু হয়। যানবাহনের চাপ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় মাহাসড়টি যানজটের মহাসড়কে পরিণত হয়। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৩ সালে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়ে কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে।

সড়কটি প্রথমে চার লেনে উন্নীত করণের কাজ শুরু হলেও পরবর্তীতে মহাসড়কটিতে ৬ লেনের কাজের অনুমোদন দেয়া হয়। মহাসড়কটিতে ১৩টি আন্ডারপাস ও ৭টি ফ্লাইওভার রয়েছে। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯শ কোটি টাকা।

ভূমি অধিগ্রহণসহ প্রতি কিলোমিটারের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪ কোটি টাকারও বেশি।

মহাসড়কটি চার প্যাকেজে উন্নীত করণের কাজ চলছে। প্রতিটি প্যাকেজের জন্য আলাদা আলাদা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

প্যাকেজ এক এ জয়দেবপুর থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার অংশের নির্মাণ কাজ করছেন স্প্রেকট্রা নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্যাকেজ দুইয়ে কালিয়াকৈর থেকে মির্জাপুরের কুরণী পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার অংশের নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছে আব্দুল মোমেন লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্যাকেজ তিন এ কুরণী থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার অংশের কাজ করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামহোয়ান ও বাংলাদেশের মীর আকতার লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর প্যাকেজ চার এ টাঙ্গাইল থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশের কাজ করছে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিয়েনকো লিমিটেড।

স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। বৃষ্টির পানিতে মহাসড়কে গর্তগুলো ভরে যায়। যার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সহজেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মহাসড়কটি হওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। কিন্তু নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে গর্ত তৈরি হওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করতে হয়। এছাড়া গাড়ি চললে গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে কাপড় নষ্ট হয়।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চারলেন প্রকল্পের সেকশন দুই এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম বলেন, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ছোটখাটো গর্ত সঙ্গে সঙ্গেই সংস্কার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে অবহিত করে ওইসব এলাকায় দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে সড়কের নির্মাণ কাজ ৮৩ ভাগ শেষ হয়েছে।

জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৭ কি‌লো‌মিটার এলাকাজুড়ে যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মোবাইল ফ্ল্যাশলাইটের ফাঁদ
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট 
X
Fresh