• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ত্রাণের ঘর দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে ইউপি সদস্যের ধর্ষণ

কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০১ অক্টোবর ২০২০, ২১:৪৭
Symbolic picture of rape
ধর্ষণের প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ঘর দেয়ার প্রলোভনে হতদরিদ্র এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছেন প্রভাবশালী এক ইউপি সদস্য। উপজেলার টনকি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী সদস্য মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ ধর্ষিতার। বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লার নারী-শিশু আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালত কুমিল্লাস্থ পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) আদালত থেকে মামলার নথি পিবিআই কার্যালয়ে পৌঁছায়।

মামলার বিবরণ ও ধর্ষিতার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকি গ্রামের এক সিএনজি চালকের স্ত্রী একটি বাসগৃহের জন্য আবেদন জানায় ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের কাছে। এরই সূত্র ধরে ওই গৃহবধূকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে একটি ঘর দেয়ার আশ্বাসে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করে তার বাড়ীতে যাতায়াত শুরু করে মজিবুর রহমান।

এক পর্যায়ে তাকে মেলামেশার প্রস্তাব দিলে গৃহবধূ রাজী না হলেও ঘর দেয়ার প্রলোভনসহ নানা কৌশলে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঘর দেয়ার আশ্বাসে এরই মাঝে তাকে বেশ কয়েক দফা ধর্ষণ করা হয়। সরকারি বরদ্দে ঘর না পাওয়ায় ধর্ষিতা ইউপি সদস্যকে চাপ দিতে থাকে।

সবশেষ গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূকে ফের ধর্ষণ করতে যায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য। এ সময় বাঁধা দিলেও সে জোর পূর্বক ধর্ষণ করলে গৃহবধূ চিৎকার করে। এতে আশপাশের লোকজন এসে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ধর্ষিতা কিছুটা সুস্থ হয়ে ঘটনার দু’দিন পর থানায় মামলা করতে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা মামলা গ্রহণ না করে আদালতে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেয়।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দায়ের করলে আদালত ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লাস্থ পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।

তবে ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ওই গৃহবধূকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়েছে। আমি ওই গৃহবধূকে চিনি না, এসব ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই, ষড়যন্ত্রকারীরা আমার বিরুদ্ধে একে একে চারটি মামলা দিয়েছে। তদন্তেই সত্য উদঘাটন হবে দাবি ওই ইউপি সদস্যের।

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: শামীম মিয়া বলেন, আদালত থেকে ধর্ষিতার অভিযোগ পেয়েছি, তাকে মেডিকেল চেকআপসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন:
টেক্সিচালকের বিরুদ্ধে একই পরিবারের দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ডিআইইউতে সাংবাদিক সমিতি বন্ধ করতে টিউশন ফি মওকুফের প্রলোভন!
চকলেটের প্রলোভনে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, ভুয়া পুলিশ গ্রেপ্তার 
লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যেতে গিয়ে ৬৩ শতাংশ বাংলাদেশি বন্দী হন
X
Fresh