সীতাকুণ্ডে ইলিশ মাছ লুট, মূল হোতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী শনিঠাকুরপাড়ায় পরপর দুই দফায় জেলেদের আহরণকৃত ইলিশ লুট হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ জেলেরা।
বুধবার রাত দুইটার দিকে জেলেদের শতাধিক নারী-পুরুষ একযোগে চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার ও লুটের ঘটনায় প্রতিকার দাবি করে।
পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে একঘণ্টা পর বাড়ি ফিরে যায় বিক্ষুব্ধ জেলেরা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে সীতাকুণ্ড থানায় সুনির্দিষ্ট চারজনসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী জেলে খোকন দাশ।
মামলায় আসামিরা হলেন, মো. ওয়াসিম(৩৩), মো. রাশেদ (৪০), মো. আমজাদ(৩০) ও মোহাম্মদ আলী মেহেদী (৩৫)।
আজ দুপুরে ঘটনার মুল হোতা মোহাম্মদ আলী মেহেদীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই এলাকার জেলে সর্দার বাদল দাশ বলেন, গত বুধবার রাত ১০টার দিকে সন্ত্রাসীরা কিরিচসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের কাছে বড় ইলিশ দিতে বলেন। এসময় ঘাটে থাকা ৪০ হাজার টাকা দামের একমন ইলিশ লুট করে নিয়ে যায়। পরে রাত তিনটার দিকে সন্ত্রাসীরা আবারও গিয়ে ২১০কেজি ইলিশ নিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় জেলেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। পরে তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। পরে বিক্ষুব্ধ জেলেরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের নাজিম উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে।
বাড়ি ঘেরাওয়ের কথা স্বীকার করে ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, বিক্ষুব্ধ জেলেদের শতাধিক নারী-পুরুষ তার বাড়িতে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক সীতাকুণ্ড থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ দ্রুত সময়ে আসামীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে তারা ফিরে যায়।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, ইলিশের মৌসুমে জেলেদের ওপর একাধিক চাঁদা দাবিসহ তিনটি মামলা হয়েছে। নিরীহ জেলেদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে মাছ লুট হওয়ার মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনা শুনার পর দ্রুত একজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা। এর আগে সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী ও ভাটিয়ারী ইউনিয়নে জেলেদের মারধর ও চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় মামলা হয়েছে।
জিএ
মন্তব্য করুন