পুলিশ শতভাগ নিশ্চিত রবিউল ইউএনওর ওপর হামলায় সম্পৃক্ত
দিনাজপুরে আবারও আলোচনায় ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা।
গেলো মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর প্রেসক্লাবে রবিউলের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন এই ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামি রবিউল ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ফলে ঘটনাটি আবারও আলোচনায় এসেছে।তবে পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ দিকের তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এই ঘটনায় রবিউলের সম্পৃক্ততা শতভাগ বলে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। এই পাঁচটি তথ্য-প্রমাণে রয়েছে প্রযুক্তিগত তথ্য-প্রমাণ, শারীরিকভাবে যাওয়ার তথ্য-প্রমাণ, ফরেনসিক তথ্য-প্রমাণ, কোলাবেরেশন (সংশ্লিষ্ট সাক্ষী) তথ্য-প্রমাণ ও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান।
এই ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মামলার তদন্দসংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যে পাঁচটি তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তাতে করে শতভাগ নিশ্চিত যে রবিউল ইসলামই এই ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারী। সংবাদ সম্মেলনে যেসব দাবি করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করে আরও জানান, রবিউলই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তার কথা বলা, চলার ভাবভঙ্গি, জবানবন্দিতে দেওয়া বিবরণ, আলামত জব্দ, ফরেনসিক তথ্য সংগ্রহ, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, প্রযুক্তিগত তথ্য, ঘটনার স্থানের তথ্য এসবের প্রত্যেকটির সঙ্গে প্রত্যেকটির মিল রয়েছে। তবে একটি গোষ্ঠী এই ঘটনাটিকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সত্য সবসময়ই সত্য এবং এটি যে শতভাগ সত্য তা আদালতের মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে। ঘটনার প্রত্যেকটি সংশ্লিষ্টতাই প্রমাণ করবে রবিউলই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
প্রসঙ্গত, গেলো ২০ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৭ এ ইউএনও ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বিরল উপজেলার ধামাহার গ্রামের মৃত খতিব উদ্দিন আহাম্মেদের ছেলে রবিউল ইসলাম। গেলো ১২ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত আদালতের আদেশে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে ৯ দিনের রিমান্ডে রাখা হয় তাকে। এর আগে গেলো দুই সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে ঘোড়াঘাট ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
জেবি
মন্তব্য করুন