• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মিন্নি ষড়যন্ত্র না করলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতো না: আদালতের পর্যবেক্ষণ

আরটিভি নিউজ

  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:০০
Ayesha Siddique Minni
আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি

‘রিফাত হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে এবং এই হত্যার মাস্টার মাইন্ড ছিল মিন্নি। এই হত্যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।’ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুজিবুল হক কিসলু।

আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা হয়। এতে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর চার আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান আজ (বুধবার) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

মুজিবুল হক কিসলু আরও বলেন, এ মামলায় আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে যে মিন্নি ছাড়া এই হত্যাকাণ্ড ঘটতো না। মিন্নি নয়ন বন্ডসহ অন্যান্য আসামিদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। হত্যার একমাত্র পরিকল্পনা ছিল মিন্নির। মিন্নির কারণে তার পরিকল্পনায় অন্যরা যুক্ত হয়েছে। মিন্নি ষড়যন্ত্র না করলে এই অপরাধীরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত হত না।

এই রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

১০ আসামির মধ্যে মুসা পলাতক ও মিন্নি জামিনে রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মামলার ৭ নম্বর আসামি ও রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি এবং বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৮ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।

জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কলেজছাত্রকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ 
বারের সামনে চুলোচুলি, ভাইরাল সেই ৩ নারী গ্রেপ্তার
সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা
পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পের বিচার শুরু
X
Fresh