• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে রিফাতের বাবার মানববন্ধন

বরগুনা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:১৩
Rifat's father's human chain to demand maximum punishment for the accused
আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে রিফাতের বাবার মানববন্ধন

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ন্যায়বিচার ও সব আসামির ফাঁসির রায়ের জন্য মানববন্ধন করেছে ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। রায়কে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে পুরুষ নির্যাতন নিয়ে কাজ করা এই সংস্থাটির মানববন্ধনে নিহত রিফাতের বাবাও অবস্থান করেন।

এসময় নিহত রিফাতের বাবা আবদুল্লাহ হালিম দুলাল শরিফ বলেন, আমার আদালতের প্রতি আস্থা রয়েছে। আমরা আশাবাদী সব আসামির ফাঁসির রায় দেওয়া হবে।

‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন’ এর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম বলেন, আমরাও আশাবাদী সব আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক রায় দেবেন আদালত।
এদিকে রিফাত হত্যা মামলার রায়ের অপেক্ষায় উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা গেছে আদালতপাড়ায়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। তারা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন। অপর এক আসামি মুসা পলাতক রয়েছেন।

গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

মামলার বাদী রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ গতকাল মঙ্গলবার বলেন, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন, এটাই প্রমাণ হোক। রাষ্ট্র বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে দেশবাসীকে জানিয়ে দিক, অপরাধ করে কেউ বাঁচতে পারে না। মিন্নিসহ সব আসামির শাস্তি চাই আমরা।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।

রায় ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় তিনস্তরের কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আদালত প্রাঙ্গণ, প্রবেশপথ ও আশপাশের এলাকায় কড়া পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে। আদালতের ভেতরে সাদা পোশাক ও ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। নিরাপত্তাবেষ্টনী অতিক্রম করে আদালতে প্রবেশ করেন বিচারপ্রার্থীসহ সাংবাদিকরা। জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। এছাড়া র্যাব সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও টহল দিচ্ছে বরগুনায়।

এ ব্যাপারে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী বলেন, মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালতের আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মেয়েকে ধর্ষণে বাবার মৃত্যুদণ্ড
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
গোপালগঞ্জে বোমা হামলায় বাবা-ছেলে আহত
তারাকান্দায় ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, বাবা সংকটাপন্ন
X
Fresh