এমসি কলেজে গৃহবধূকে গণধর্ষণ: এখনো গ্রেপ্তার হয়নি কেউ, সীমান্তে নজরদারি
সিলেটে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সীমান্ত এলাকায় সতর্কবার্তা পাঠানোর পাশাপাশি জেলা পুলিশ ও মহানগর পুলিশের আওতাধীন সব থানাকে সর্তক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ধর্ষণ মামলার আসামিদের গ্রামের বাড়িতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সম্ভাব্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম। ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারের ইতোমধ্যে মহানগর পুলিশের সাতটি টিম বিভিন্ন ধাপে কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে আসমীদের গ্রেপ্তার করার জন্য ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, পুলিশ ধর্ষণ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তাদের নানা বিষয় খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মাঠে পুলিশের একাধিক টিমও কাজ করে যাচ্ছে।
সিলেট জেলা পুলিশ মিডিয়া অফিসার সাইফুল আলম জানান, সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে, সিলেট জেলা পুলিশের আওতাধীন সব থানাকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আসামিরা যাতে সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে পালাতে না পারে, সেজন্য সর্তক থাকতে বলা হয়েছে থানা পুলিশকে।
আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানা, পুলিশ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু আসামিরা স্থান পরিবর্তন করায় পুলিশ তাদের খোঁজ পাচ্ছে না। তবে পুলিশ দোষীদের ধরতে তৎপর রয়েছে।
এদিকে, গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসানকে গ্রেপ্তার করতে তার গ্রামের বাড়ি দিরাইয়ে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বড় নগদীপুর গ্রামে তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে দিরাই থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণে অভযুক্ত যারা (ভিডিও)
এসএস
মন্তব্য করুন