এমসি কলেজে গণধর্ষণ: তদন্ত কমিটি, ২ গার্ড সাসপেন্ড
সিলেটের এমসি কলেজ হোস্টেলে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে কলেজের প্রধান ফটকের দারোয়ান রাসেল মিয়া ও চৌকিদার সবুজ আহমদ রুহানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে প্রধান করে শনিবার দুপুরে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন-রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জীবনকৃষ্ণ (শ্রীকান্ত ছাত্রাবাসের হোস্টেল সুপার) ও অপর হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিন। কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ আহমদ আরটিভি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২ জন নিরাপত্তাকর্মীকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তারা মাস্টাররোলে কর্মরত ছিলেন।
গতকাল শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। ওই তরুণীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহ পরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), সাইফুর রহমান (২৮), রবিউল ইসলাম (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫) ও তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮)। এর মধ্যে রবিউল ও তারেক (২৮) বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন :
সেই ছাত্রলীগ নেতাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতেন অধ্যক্ষ
এমসি’র ছাত্রাবাসে গণধর্ষণে ভিপি নুরের সংগঠনের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
পি
মন্তব্য করুন