• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বিপৎসীমার ওপরে ধরলার পানি, অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

স্টাফ রিপোর্টার (কুড়িগ্রাম), আরটিভি নিউজ

  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:২৫
More than half a million people are trapped in the water above the danger line
কুড়িগ্রামের ছোট-বড় সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে

অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ছোট-বড় সবগুলো নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে আরেক দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েক দফা বন্যায় নাজেহাল হয়ে পড়েছে জেলার নদী তীরবর্তী হাজার হাজার মানুষ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে তা একটু কমে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদৎসীমার ওপরে বইছে। সেই সাথে তিস্তাসহ অন্যান্য সকল নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। চতুর্থ দফা বন্যার পানি কমে গেলেও আবার গত দুইদিন যাবত পানি বেড়ে নতুন করে ৫ম দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জেলার সদর, রাজারহাট, উলিপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলাসহ ৪টি উপজেলার শতাধিক চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় চরে এখন চলতে হচ্ছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর আবাদি জমির ফসল। তার মধ্যে সদ্য রোপণকৃত আমন ধানই বেশি। ৫ম দফা বন্যা পরিস্থিতিতে নদনদী পাড়ের মানুষের মধ্যে মারাত্মক হতাশা বিরাজ করেছে।

সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের চাষি মকবুল হোসেন জানান, কয়বার আর জমি গাড়মো। এইতো সেদিন লালমনিরহাট থাকি বিচন আনি রোয়া গাড়নো। ফির বান আসি ডুবি দিলে। তাহলে হামরা কৃষক মানুষ বাচমো ক্যামনে।

কৃষিবিভাগের হিসেব মতে, এখন পর্যন্ত চতুর্থ দফা বন্যায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। তবে আরও এ সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদে বন্যার পানি আসা ও কমা বাড়ার মধ্যে জেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙন চলছে। জেলার ৫টি উপজেলায় অন্তত ৩০টি পয়েন্টে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা প্রতিদিন নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। গৃহহীন হয়ে পড়ছে শত শত মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন কবলিত কয়েকটি পয়েন্টে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই ১২ মেট্রিক টন চাল ৩ উপজেলায় প্রদান করা হয়েছে। তবে বন্যার চেয়ে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তবে এসব ভাঙনকবিলত মানুষ ত্রাণ চান না। তারা চান দ্রুততম সময়ে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা।
পি


মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চাই না : পরীমণি
লাখো মানুষে মুখর জাতীয় স্মৃতিসৌধ
‘মানুষ যে আশা নিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিল, তা আজও পূরণ হয়নি’
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এমপি শান্তর মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন
X
Fresh