টাঙ্গাইলে তীব্র ভাঙন
টাঙ্গাইলে আবার বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। গেলো ২৪ ঘণ্টায় এ নদীর পানি আট সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এ পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। গেলো এক সপ্তাহের ভাঙনে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ও কালিহাতী উপজেলার চরপৌলি, বেলটিয়া বাড়ি ও আলিপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক ঘর-বাড়ি, মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে ভাঙন প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোনও প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার কাকুয়া ও কালিহাতী উপজেলার চরপৌলি, বেলটিয়া বাড়ি ও আলিপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভেঙে যাচ্ছে ফসলি জমি, ঘর বাড়ি, শত বছরের পুরনো মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। গেলো এক সপ্তাহের ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গেছে মসজিদসহ শতাধিক ঘর-বাড়ি। হুমকিতে রয়েছে বহু স্থাপনা।
সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই এমন ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে লোকজন।
ভাঙনের তীব্রতা এতো বেশি যে লোকজন ঘর বাড়ি সরানোর সুযোগও পাচ্ছে না। ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করলেও ভাঙন রোধে কোনও প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিবছর এ এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। আর গৃহহীন হয় শত শত পরিবার। বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু বাস্তব কোনো প্রতিফলন ঘটে না। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা তানজিন অন্তরা বলেন, আমি ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। তাৎক্ষণিক তাদের কিছুটা সহায়তা করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা স্থায়ী একটি বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।
জেবি
মন্তব্য করুন