নিখোঁজের ৫ দিন পর কলেজছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
ঝিনাইদহ শৈলকুপায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর কলেজছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নিখোঁজের পাঁচ দিনের মাথায় কলেজছাত্র সুজনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে হাজামপাড়া গ্রামের ধানক্ষেতের ভেতরে মাটি খুঁড়ে সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, উপজেলার আউশিয়া গ্রামের সুজন (২০) নামের এক কলেজ ছাত্র চার দিন ধরে নিখোঁজ ছিল।
পাঁচ দিনের মাথায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সুজনের অর্ধগলিত মরদেহ হাজামপাড়া ধান ক্ষেতের বরিং এর মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে কুপিয়ে হত্যা শেষে মরদেহটি মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিলো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী আউশিয়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, পাওনা টাকা আনতে গিয়ে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি বলে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা করেছিল পরিবার। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাকিব ও নাজমুল নামে দুইজনকে আটক করেছে। সাকিব আটকের পর থেকে তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।
নিখোঁজ সুজনের চাচা রফিকুল ইসলাম রবি জানান, গেলো রোববার বিকেলে সুজন সার আনতে আউশিয়া বাজারে যায়। বাজারের একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় পাওনা ৮০০ টাকা নেওয়ার জন্য জনৈক রাকিব মোবাইল করে। রাকিব সে সময় সুজনকে রাকিবের ছোট ভাই সাকিবের মোটরসাইকেলে চলে আসার জন্য জানালে চায়ের দোকান থেকে সুজন সাকিবের মোটরসাইকেলে চলে যায়। বাজারের অনেকেই ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন। সেই থেকে চার দিন ধরে সুজন নিখোঁজ ছিল।
এদিকে সুজন নিখোঁজের ঘটনায় সাকিবকে আটক করা হলে তার ভাই রাকিব এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন