আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকাবস্থায় দোকান নির্মাণের চেষ্টা
ফরিদপুরের ঝিলটুলীর ভরাট হয়ে যাওয়া ঝিলপাড়ে আদালদের নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থাতেই দোকান ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসব দোকানপাট নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঝিলটুলীর বাসিন্দা জনৈক এখতিয়ার রহমান ইক্তি চরকমলাপুর অনাথের মোড় সংলগ্ন ঝিল পাড়ে বাঁশ খুঁটি গেড়ে কয়েকটি দোকান ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। তার দাবি, ফরিদপুর পৌরসভা হতে বন্দোবস্ত নিয়ে তিনি এসব দোকান নির্মাণ করছেন।
একই এলাকার বাসিন্দা আশিকুল হক জানান, ঝিলপাড়ের ওই স্থানটি ফরিদপুর মৌজার এসএ ৯৪৯ নম্বর দাগের অন্তর্ভুক্ত। এই জমি নিয়ে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজের সঙ্গে তাদের মামলা চলমান রয়েছে। সম্প্রতি হাইকোর্ট ওই স্থানের ব্যাপারে একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যেখানে বলা হয়েছে উভয়পক্ষকেই নিজ নিজ অবস্থানে স্থিতি থাকতে ও কোনোপ্রকার কর্মকাণ্ডে না করতে আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, পৌরসভা রাস্তার ওপাড়ে এসএ ৯৪৯ নম্বর দাগের বাইরে পৌরসভার বর্তমানে কোনও জমি নেই।
এদিকে ওই স্থানে আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ টানানো থাকা অবস্থাতেই পৌরসভার লিজ দাবিদার এখতিয়ার রহমান ইক্তি সেখানে দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা চালান। এ ব্যাপারে এক্তিয়ার রহমান বলেন, সাত বছর আগে পৌরসভা থেকে সেখানে তারা ৪০ ফুট লম্বা জমি বন্দোবস্ত নিয়েছেন। সেখানেই তিনি ঘর নির্মাণ কাজ করতে যান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা রাস্তার পাশের ওই জমির সামনে রাস্তার পাশে ন্যুনতম তিন ফুট জমিও অবশিষ্ট নেই। সেখানে কোনোভাবেই পৌরসভার জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করা সম্ভব নয়। আর মালিকানাধীন জমির সামনে এসব দোকান নির্মাণ হলে ওই জমিতে প্রবেশের রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর পৌর মেয়র মেখ মাহতাব আলী মেথুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সেখানে রাজেন্দ্র কলেজের হোস্টেল নির্মাণ শুরুর আগে কয়েকজনকে পৌরসভা বন্দোবস্ত দিয়েছিল। বিষয়টি কাগজপত্র দেখে তিনি ভালো বলতে পারবেন।
জেবি
মন্তব্য করুন