বৃষ্টি ও জোয়ারের প্রভাবে ঝালকাঠির নিম্মাঞ্চল প্লাবিত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে আজ বুধবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে ও সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বন্যার প্রভাবে বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জেলার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জেলার কাঁঠালিয়া ও রাজাপুরের বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধ না থাকায় বিস্তীর্ণ এলাকা এখন প্লাবিত। জেলার চার উপজেলায় রোপা আমন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া, আমুয়া, পাটিখালঘাটা গ্রামসহ ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তাঘাট তলিয়ে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বিপর্যস্ত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরেছে অসংখ্য মানুষ।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাজেদুল বারি আরটিভি নিউজকে জানান, স্বাভাবিকের চেয়ে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে দুই-তিন ফুট পানি বেড়েছে। বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এসব নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে কৃষকরা জানান, সকাল থেকে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রোপা আমন ও আমনের বাজীতলাসহ লতাকৃষি নিমজ্জিত রয়েছে। পানি স্থায়ী হলে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে পানি জমে থাকলে সদ্য রোপিত বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে যা কৃষকের জন্য ক্ষতি হবে। পানি স্থায়ী না হলে কৃষির কোনও ক্ষতি হবে না বলে কৃষি বিভাগের দাবি।
জেবি
মন্তব্য করুন