সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ চ্যানেলে রূপালী ইলিশের ঝলক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ চ্যানেলে বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়তে শুরু করেছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ। দাম না কমায় হতাশা বিরাজ করছে ক্রেতা সাধারণের মাঝে।
মৌসুমের শুরুতে ইলিশের দেখা না পাওয়ায় অনেকটা হতাশায় ভুগছিলেন জেলেরা। তবে হঠাৎ করে সাগরে কাঙ্ক্ষিত রূপালী ইলিশ ধরা পড়ায় হাসি ফুটেছে জেলে, আড়তদার ও মৎস্যজীবীদের মুখে। গত এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে গভীর সমুদ্রে থাকা ইলিশ বোঝাই ট্রলারগুলো আসতে শুরু করেছে দুই উপজেলার বিভিন্ন ঘাটে। বাজারে জেলে, আড়ৎদার ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা পার করছেন ব্যস্ত সময়। কেউ ইলিশ মাছের ঝুড়ি টানছেন, কেউ প্যাকেট করছেন, আবার কেউ কেউ সেই প্যাকেট দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে তুলে দিচ্ছেন ট্রাকে।
আজ রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে দেখা যায়, গত তিন দিনে সাগর থেকে ইলিশ বোঝাই করে ফিরেছে নৌকা ও স্পিডবোড। ফিরে আসা ইলিশ ভর্তি এসব নৌকা স্পিডবোডে বিভিন্ন ঘাটে দিয়ে আসা নৌকা ও স্পিডবোডগুলো ঘাটে সারিবদ্ধভাবে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে আর বিভিন্ন রকম ক্রেতারা ছোটাছুটি করেছেন মাছ কেনার জন্য।
ইলিশ বিক্রেতা বলরাম জলদাস বলেন, গত বছরের তুলায় এবছর আশানুরূপ ইলিশ পড়েনি। তরে গত কয়েকদিনে কিছুপরিমাণ ইলিশ পরতে শুরু করেছে। আশা করি আগামী কয়েকদিনে আরও বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়বে।
আরেক ইলিশ মাছ বিক্রেতা মিন্টু জলদাস বলেন, এবছর তেমন মাছ পড়েনি। মৌসুমের প্রথম দিকে ইলিশের দেখা মেলেনি। তাই সবাই আমরা সবাই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তবে সাগরে হটাৎ করে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামিম আহম্মদ বলেন, এই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১২৫.৫০ মেট্রিকটন ইলিশ মাছ আহরণ করা হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর একটু কম মাছ ধরা পরছে। তবে মাছের আকার বড়। বাজারে বড় ইলিশ এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬শ টাকা থেকে ৮টাকায়, ৫শ গ্রাম থেকে ১কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪শ টাকা থেকে ৫শ টাকায়। চোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২শ থেকে ৩শ টাকায়। সবাই আশা করছে আগামী আগামী এক দুই সপ্তাহের মধ্যে ইলিশের পরিমাণ বাড়তে পারে।
এসএ/জিএ
মন্তব্য করুন