• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

কলা বিক্রি করেই আর্মি অফিসার হতে চায় মোতাব্বির (ভিডিও)

গাজী আনিস

  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:২৪
Motabbir Hossain
মোতাব্বির হোসেন

আমি চাই না বাবার টাকা ভাঙিয়ে খাই। তাই ঢাকায় এসেছি। এক মাসে যে টাকা আয় হবে এই টাকা নিয়ে বাবার হাতে দেবো। তিনি সাংসারিক কাজে লাগাবেন- কথাগুলো ১৫ বছর বয়সী মোতাব্বির হোসেনের। হবিগঞ্জের ভাষায় বুধবার সকালে আরটিভি নিউজকে কথাগুলো বলছিল কিশোরটি।

অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোতাব্বির। থাকে মোহাম্মদপুর এলাকায়। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ তাই হবিগঞ্জ সদর থেকে এক মাসের জন্য বড় ভাইয়ের সঙ্গে রাজধানীতে আসে কাজের সন্ধানে। বেছে নিয়েছে কলার ব্যবসা। প্রতিদিন কারওয়ান বাজার থেকে বাঁকে (ভারবহনের দন্ড) কলা নিয়ে বিক্রি করে মোহাম্মদপুর এলাকায়। কারওয়ান বাজার থেকে কলার বাঁক নিয়ে যাত্রা শুরু করে ফার্মগেট, সংসদ ভবন, আসাদ গেট এলাকা হয়ে হেঁটে চলে সে। চলার পথের পথিক কিংবা রাস্তার ধারের দোকানী তার খরিদ্দার।

প্রতিদিনের বিক্রি নিয়ে মোতাব্বির বলে, ১০০০ টাকার কলা বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা থাকে। বিকেলের আগেই কলাবেচা শেষ। পাতি হিসেবে কলা কিনতে হয়। ১ পাতিতে ১৪০টা কলা থাকে। দেড় পাতি কলা কিনি প্রতিদিন।

মোতাব্বির হোসেনের বয়স কম, তাই প্রতিদিন যে ভার সইতে পারে তাতে ৫০০-৬০০ টাকা আয় হয়। মাস শেষে ১৫০০০ হাজার থেকে ১৮০০০ হাজার টাকা থাকে। তবে পরিণত বয়সী ভার বেশি বহন করার কারণে প্রতিদিন ১০০০-১২০০ টাকা আয় করতে পারেন।

মাস শেষেই বাড়ি ফিরে যাবে মোতাব্বির। বাবা-মা, ভাই-বোনদের সঙ্গে আবার দেখা হবে। বাবার হাতে আয়ের সব টাকা তুলে দিয়ে আবারও ফিরে আসবে কলার ব্যবসায়। সাথে চালিয়ে যাবে পড়ালেখা। তার ইচ্ছা পড়ালেখা শেষ করে সেনাবাহিনীর অফিসার হওয়া।

জিএ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
একসঙ্গে মৃত্যুর ইচ্ছা পূরণ হলো দম্পতির, শায়িত হলেন পাশাপাশি
ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ব্যাংক 
ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে যে ইচ্ছা পূরণ করতে চান পরীমণি
হজ করার ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে গেল এ টি এম শামসুজ্জামানের
X
Fresh