সিনহা হত্যা: কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে আসামি অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন খারিজ
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে আসামি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত মন্তব্য করেন সিনহা হত্যা মামলায় কেউ কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তার করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
এর আগে বেলা ১২টায় সিনহা হত্যা মামলায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে আসামী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আদালতে সম্পূরক আবেদন দায়ের করেন মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমীন শাহরিয়ার ফেরদৌস।
মামলার বাদী ও মেজর সিনহার বড় বোন শারমীন শাহরিয়া ফেরদৌস সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করে বলেন, এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন ঘটনার শুরু থেকেই আসামিদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ওনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। মেজর সিনহার মানহানি করেছেন। ওই সময় তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন মেজর সিনহার গাড়িতে তিনি ইয়াবা ও মাদকদ্রব্য পেয়েছিলেন। একজন পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি এটি বলতে পারেন না। তিনি তদন্ত কাজে প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করে চলেছেন।
এদিকে, টেকনাফের বাহারছড়ার আবদুল আমিন ও হোয়াইক্যংয়ের মুফিজ আলম নামের দুইজনকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসি প্রদীপসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দীনের আদালতে আরও দুটি মামলা হয়েছে।
---------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলার আবেদন
---------------------------------------------------------------
টেকনাফ বাহারছড়া এলাকার আবদুল আমিনের ভাই নুরুল আমিন ও মুফিজ আলমের ভাই মো. সেলিম বাদী হয়ে এই দুই মামলার আবেদন করেন। দুটি মামলার একটি ৩৮ জন ও অন্যটিতে ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু মুছা আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, ফৌজদারি মামলার এজাহার দুটি আমলে নিয়েছেন আদালত এবং ওই ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কিনা তা আগামী ধার্য দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, গেল বছরের ২২ সেপ্টেম্বর আবদুল আমিনকে এবং ১৩ জুলাই মুফিজ আলমকে ওসি প্রদীপের নেতৃত্বে বিচার বহির্ভূতভাবে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের ফেরার পথে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এরপর গেল ৫ আগস্ট টেকনাফ থানার পরিদর্শক লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জেবি
মন্তব্য করুন