শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে ছেলের মৃত্যু নিশ্চিত করে বাবা
সৎ মা ও বাবার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় শিশু জিহাদকে। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফুটন্ত গরম পানিতে শরীর ঝলসে দেয় পাষণ্ড বাবা। পরে অর্ধগলিত অবস্থায় স্টিলের বাক্সবন্দী করে রাতের আধারে ফেলে দেয়া হয় নীলফামারীর ডিমলা রামডাঙ্গা ফরেস্ট ও সিংগাহাড়া নদীর তীরে।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রেস ব্রিফিং করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু জিহাদ (১২) দিনাজপুরের খানসামা এলাকার জিয়াউর রহমানের ছেলে।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টেগিশন (পিবিআই)। হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুর পরিচয় ও হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বাবা ও সৎ মাসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রংপুর পিবিআই'র এসপি জানান, গত ১৪ জুলাই মধ্যরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশু জিহাদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর ওয়াটার হিটার দিয়ে করা গরম পানি গায়ে ঢেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে তার বাবা জিয়াউর রহমান। পরের দিন সকালে জিয়াউর রহমান, সৎ মা আলেয়া মনি (১৯) ও নানা আইয়ুব আলী (৫৫) বাড়ির বেডসিট ও কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে স্টিলের বাক্সে তালাবন্ধ করে। এরপর ১৩ হাজার টাকা চুক্তিতে মধ্যরাতে পার্শ্ববর্তী জেলার ডিমলা ফরেস্ট এলাকায় বাক্সবন্দি জিহাদের লাশ ফেলে রেখে যায়।
গত ১৫ জুলাই মধ্য রাতে রাস্তার পাশে স্টিলের বাক্সটি দেখতে পেরে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। বাক্সে একটি অর্ধগলিত লাশ মিললে নাম পরিচয় মেলেনি এমনকি স্থানীয়রা কেউ লাশ শনাক্ত করতে পারেনি। এ ঘটনায় পিবিআই এর রংপুরের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল ওই ঘটনার ১ মাস ১৭ দিনের মাথায় ক্লুলেস এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে।
এ বিষয়ে এসপি জাকির হোসেন জানান, শিশু জিহাদ হত্যাকাণ্ডে তার বাবা জিয়াউর রহমান, সৎ মা আলেয়া মনি ও নানা আইয়ুব আলীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিজ ঘরেই পুঁতে রাখলো আপন ভাইয়ের লাশ
এনএম/এসএস
মন্তব্য করুন