• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইউএনওর বাড়ির পেছনটা সুনসান, থানা ৫ কিলোমিটার দূরে

আরটিভি নিউজ ডেস্ক

  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৪৯
UNO has been the victim of that house attack
ফাইল ছবি

দিনাজুপরের বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ক্যাম্পাস ও থানা প্রায় কাছাকাছি অবস্থিত হলেও ঘোটঘাট উপজেলার চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। ঘোটঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় ওসমানপুরে। যেখান থেকে থানার দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। তাছাড়াও যে ইউএনও যে বাড়িটিতে হামলার শিকার হয়েছেন তার পেছনটা অনেকটা সুনসান। ছিল না তেমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্থানীয়রা মনে করছেন এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

ঘোড়াঘাট পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভুট্টু জানান, থানা দূরে থাকার কারণে ওসমানপুরে প্রায়ই চুরিসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম হয়। গেল ১৫ দিন আগে তার বাড়িও চুরির ঘটনা ঘটে। খোয়া যায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয়রা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ওয়াহিদা খানম ২০১৮ সালের নভেম্বরে যোগ দেয়ার পরেই বিভিন্ন ধরনের অভিযানে অংশ নেন।

এ সময় তিনি বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম বন্ধ করেন তিনি। যে কারণেই তার ওপর এই হামলা হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি আসলে কি কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটছে।

সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এ হামলায় অংশ নেন দুজন। তাদের মধ্যে একজন ছিল মুখোশ পরিহিত। অন্যজন পিপিই (পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) পরা। রাতে তারা এক এক করে বাড়িতে প্রবেশ করে এবং ঘটনা ঘটিয়ে একসঙ্গেই বের হয়ে যায়।

ওয়াহিদা খানমের অবস্থা এখন অনেক ভালো। তার জ্ঞান ফিরেছে। অস্ত্রোপচারের ১১ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরেছে। হাসপাতাল সূত্রে এমনটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরোসার্জন ও গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তার মাথার ভাঙা হাড়ের ৭-৮ টুকরা অস্ত্রোপচারে জোড়া দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আঘাতের কারণে আরও ছোট ছোট যে কাটা ছিল সেগুলোও ঠিক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে অস্ত্রোপচার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, ৬ সদস্যবিশিষ্ট চিকিৎসক দলের প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথার জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার শেষ হলেও ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ইউএনও ওয়াহিদা সেরে উঠবেন সে ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হলেও শঙ্কামুক্ত নন বলে জানান তিনি।

মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা আশাবাদী কিন্তু এটা হেড ইঞ্জুরির ব্যাপার, তার মাথার ভেতর রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং ব্রেনে আঘাত লেগেছে। ব্রেনের ওপর একটা চাপ ছিল সেটা আমরা রিলিফ করেছি। তবে এখনই ক্লিয়ারলি আমরা বলতে পারব না যে রোগী ভালো হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ইট উইল টেক টাইম। অন্তত ৭২ ঘণ্টা আমরা তার পরিস্থিতি অবজার্ভ করব। আমরা আশাবাদী রোগী ভালো হয়ে যাবে, বাকিটা আল্লাহ ভরসা।

বুধবার মধ্য রাতে ঘোড়াঘাটে সরকারি বাসায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা। এরপর তাকে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার বাবা চিকিৎসাধীন আছেন। তবে ইউএনওর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় আনা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওয়াহিদা খানমকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওয়াহিদা খানমকে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যে কারণে থানায় যেতে হলো আমির খানকে
টাঙ্গাইলের শ্রেষ্ঠ ওসি ভূঞাপুর থানার আহসান উল্লাহ্
ঘোড়াঘাটে ট্রাক্টরের ধাক্কায় নিহত ১ 
ঘোড়াঘাটে ৬ মোটরসাইকেল আরোহীকে জরিমানা
X
Fresh