‘তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েই শুনি মেয়ের চিৎকার’
রাত তখন তিনটা থেকে সাড়ে তিনটা হবে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে সবেমাত্র শুয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ (৬৫)। চোখে তার একটু তন্দ্রা তন্দ্রা ভাব। এমন সময়েই মেয়ের চিৎকার শুনে ওপর তলায় যান তিনি। গিয়ে দেখেন মেয়ে ওয়াহিদা খানমের কাছে চাবি চাচ্ছিল মুখোশধারী এক ব্যক্তি।
বারবার জানতে চাচ্ছিল টাকা-পয়সা ও গয়না কোথায় আছে। না হলে নাতিকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল সে। একপর্যায়ে ওমর আলী শেখ মুখোশধারী ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। শুরু হয় দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি। তখন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত হাতুড়ি দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করলে মেঝেতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান ওয়াহিদা খানমের বাবা। এরপর কি হয়েছে আর বলতে পারেন না তিনি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রমেক) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসাধীন ওমর আলী শেখ গণমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা জানান।
কী কারণে এই হামলা জানতে চাইলে ওমর আলী শেখ বলেন, ‘টাকা-পয়সা কোথায় তাই শুধু জানতে চেয়েছিল মুখোশধারী ব্যক্তি। মুখোশ পড়া থাকায় তাকে চিনতে পারিনি। পরে শুনলাম আমার মেয়েকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। কেন এই হামলা হয়েছে জানি না। তবে দুর্বৃত্ত বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে বের হয়ে যায়। তবে বাইরে কেউ ছিল।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)হিসেবে কর্মরত ওয়াহিদা খানমের স্বামী মেজবাউল হোসেন। তার বাড়ি রাজশাহীতে। ওয়াহিদা খানমের বাবার বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায়। তাদের তিন বছরের এক ছেলে রয়েছে। ওমর আলী শেখ প্রায়ই তার মেয়ের কর্মস্থল ঘোড়াঘাটে বেড়াতে আসেন। কয়েকদিন ধরে মেয়ের কাছেই ছিলেন তিনি।
জেবি
মন্তব্য করুন