• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বিধবা ভাতার কার্ড চাওয়ায় বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ চেয়ারম্যান দম্পতির বিরুদ্ধে

জামালপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১১ আগস্ট ২০২০, ২৩:০৯
বিধবা ভাতার কার্ড চাওয়ায় বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ চেয়ারম্যান দম্পতির বিরুদ্ধে
বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ চেয়ারম্যান দম্পতির বিরুদ্ধে

বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দম্পতির বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধ নারীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম আলমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার হনুফা বেওয়া নামের ওই নারীর বাড়ি শরিফপুর ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামে। তার স্বামীর নাম আক্কাস আলী শেখ। দুই বছর আগে তার স্বামী মারা গেছে। নিজে কোনও রকম অন্যের বাড়িতে কাজ করে চলেন। এ ঘটনায় ওই নারী মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে জামালপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হনুফা বেওয়া সাত মাস আগে বিধবা কার্ডের জন্য শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম আলমের কাছে ৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান টাকা নিয়েও কার্ড করে দেননি। কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান বাড়িতে যাওয়ার অপরাধে মো. রফিকুল ইসলাম আলম ও তার স্ত্রী ওই নারীকে মারধর করেন। ওই নারী স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

নির্যাতনের শিকার হনুফা বেওয়া জানান, চেয়ারম্যান কার্ডের জন্য ৫ হাজার টাকা চান। সুদে ৫ হাজার টাকা নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসি। এরপর ৭ মাসেও আর বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়নি। কার্ড চাইতে গেলেই চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী আমাকে মারধর করেন। গরিব মানুষ। কার্ড না দিলে, আমার টাকা ফেরত দেক। ৫ হাজার টাকা আমাদের কাছে অনেক। এর বিচার চাই। বিচার চাইতে থানায় আসছি।

শরিফপুর ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম জানান, আমাদের এলাকার বিধবা মহিলাকে আলম চেয়ারম্যান ও তার বউ মারধর করেছে। এটা খুব ন্যক্কারজনক কাজ। আমি এলাকাবাসী হিসেবে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করছি।

নির্যাতনের স্বীকার হনুফা বেওয়ার একমাত্র ছেলে আলিফ শেখ জানান, দুই বছর আগে আমার বাবা মারা গেছে। আমার মা বাড়ি বাড়ি কাজ করে কোন রকমে সংসার চালান। বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য এক বছর আগে সুদে ৫ হাজার টাকা নিয়ে চেয়ারম্যানরে দিছে। এখন পর্যন্ত সে আমার মা’র কার্ডটি দেয়নি। আজ মা কার্ডের জন্য তার বাড়িতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বেড় করে দেয়। আমি আমার মাকে মারধরকারী চেয়ারম্যান আলমের বিচার চাই।

শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলম জানান, আমি বা আমার স্ত্রী এমন কোনও ঘটনা ঘটায়নি। ওই বিধবা মহিলা আমার বাড়িতে গিয়ে তার কার্ডের কথা বললে, আমি তাকে বলি যে, বিধবা ভাতার কার্ডের তালিকাটা পরিষদে আছে। তালিকা দেখে বলতে পারবো আপনার নাম আছে কি না। তখন আমার স্ত্রী তাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। আসলে সামনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন তাই আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে হেয় করার জন্যই এসব অপপ্রচার করছে। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই আমার বিরুদ্ধে এসব করছে তারা।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান জানান, বৃদ্ধাকে মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বয়স্ক-বিধবা ভাতা বাড়ানো হবে : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
X
Fresh