ভোলার লঞ্চঘাটে কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি
ভোলার ইলিশা রুটের লঞ্চঘাটে গতকাল শুক্রবার ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী মানুষের ভিড় ছিল। অতিরিক্ত মানুষের চাপে গেল গেল পাঁচ মাস ধরে চলা সকল নিয়মকানুন ভেঙে গেছে। কেউ মানেনি স্বাস্থ্যবিধি।
এ সময় পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যদের নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে দেখা যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘাট এলাকা পরিদর্শনকালে মাস্ক ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দেন। ঘাট ইজারাদার জানান, কে কার কথা শোনে। যাত্রীদের স্বাস্থ্য বিধি মানার কথা বললে মারমুখী হয়ে ওঠে। সকাল থেকে কমপক্ষে ৩০ হাজার যাত্রী একযোগে ভিড় জমান।
ঘাট ইজারাদার সরোয়াদ্দি মাস্টার জানান, ভিড়ের কারণে তার স্টাফরা ঘাট টার্মিনালে প্রবেশের টাকাও নিতে পারেননি ঠিকমতো। সকাল থেকে মানুষ ভিড় জমাতে থাকে। ওই ঘাট থেকে লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরী ঘাটের উদ্দেশে একে একে ছেড়ে যায়, সি-ট্রাক খিজির-৫, খিজির-৮ এমভি দোয়েল পাখি, এমভি পারিজাত, এমভি ফারহান, এলটিটি কুতুবদিয়া জাহাজ ও দ্যা আটলান্টিক ক্রুজ। প্রত্যেকটি নৌযান ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি যাত্রী পরিবহন করে। অপরদিকে ঢাকার উদ্দেশে দিনে ছাড়ে ওয়াটারবাস অ্যাডভেঞ্চার-৫, গ্রিনলাইন-২, এমভি কর্ণফুলী-১৪ ।
বিকালে ছাড়ে এমভি ফারহান, এমভি তাসরিফ, কর্ণফুলী । ওইসব লঞ্চেও ছিল উপচেপড়া ভিড়। এমন পরিস্থিতিতে কে কোভিড-১৯ আক্রান্ত আর কে আক্রান্ত নন তা বোঝার কেউ ছিল না। এমন কি বেশির ভাগ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক। সাবেক সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার আরটিভি নিউজকে জানান, যতো চাপেই থাকুক মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করা প্রয়োজন।
গেল রমজানের ঈদের সময় নৌবাহিনী বাঁশ দিয়ে লাইন তৈরি করে মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে একে একে লঞ্চে ওঠার ব্যবস্থা করেছে। সকাল থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদারকি করেছেন। থাকতেন বিআইডব্লিটিএ’র পরিদর্শক টিম।
কিন্তু গতকাল শুক্রবার বন্ধের দিন কাউকে দেখা যায়নি। কোস্টগার্ড ও পুলিশের কয়েকজনকে দেখা গেলেও তারা ছিলেন অনেকটা নিষ্ক্রিয়।
জেবি
মন্তব্য করুন