মধুমতি নদীর ভাঙনে আতঙ্কে স্থানীয়রা
গোপালগঞ্জে মধুমতি বিলরুট চ্যানেলের পানি বিপদসীমা স্পর্শ করেছে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার মানিকদাহ ও জালালাবাদে মধুমতি নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে স্থানীয়রা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী, মুকসুদপুর ও কোটালীপাড়া উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রামের তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কমপক্ষে পাঁচশত পরিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ ও উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছে। এসব এলাকার ছোট-বড় এক হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। নষ্ট হয়েছে শাক-সবজির ক্ষেত।
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, মধুমতি বিলরুট চ্যানেলের পানি বিপদসীমা স্পর্শ করেছে।
মধুমতি নদীর পানি বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মধুমতি নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, দুর্গতদের সাহায্যের জন্য তিনশ’ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া শিশু, গো-খাদ্য ও শুকনো খাবারের জন্য ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন