নরসিংদীর মেঘনায় নৌকা ভ্রমণে মারামারি, স্কুলছাত্র নিহত
নরসিংদীতে ঈদ উদযাপন করতে গিয়ে মেঘনা নদীতে নৌকা ভ্রমণে দুই পক্ষের মারামারিতে ফারহান আহমেদ ওরফে অনিক (১৫) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।
জানা যায়, দুই নৌকায় সাউন্ডবক্সে উচ্চ স্বরে গান বাজার পাশাপাশি চলছিল তাদের আনন্দ উদযাপন। পরে বালু ছোড়ার মতো সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন শত শত মানুষের সামনে এক কিশোরের পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নাগরিয়া কান্দিস্থ শেখ হাসিনা সেতুর নিচে এই ঘটনা ঘটে।
ফারহান আহমেদ ওরফে অনিক শহরের সাটিরপাড়া এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে। সে সাটিরপাড়া কে কে ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র। তাদের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার চরাঞ্চল কালাই গোবিন্দপুর।
--------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ভোলায় ঝড়ো বাতাসে উত্তাল মেঘনা, ভেসে গেছে ফেরিঘাট
--------------------------------------------------------------
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চরাঞ্চলে শেখ হাসিনা সেতুর নিচে দুটি নৌকায় দুই দল কিশোর-তরুণ অবস্থান করছিল। নৌকা দু’টিতেই উচ্চ স্বরে সাউন্ডবক্সে গান বাজছিল। এক পর্যায়ে দু পক্ষই বালু ছোড়াছুড়ি নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার এক পক্ষ একটি কাঠ দিয়ে কিশোর অনিকের মাথায় আঘাত করলে সে পানিতে তলিয়ে যায়। অনিককে নদী থেকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। খবর পেয়ে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ সদর হাসপাতালে গিয়ে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহত কিশোরের বাবা শহিদুল্লাহ মিয়া বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনিক প্রায়ই নানু বাড়ি অর্থাৎ কালাই গোবিন্দপুর যেত। গতকাল সকালেও সেখানে গিয়েছিল সে। ওই এলাকায় তার বয়সীরা নৌকা ভ্রমণে গেছে খবর পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে আরও তিনজনের সঙ্গে সেতুর নিচে যায় অনিক।
নরসিংদী সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী জানায়, এ ব্যাপারে ৩ জন কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এছাড়াও সব মিলিয়ে অনিক হত্যার কারণ ও পারিপার্শ্বিক ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত নিহত কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এসএস
মন্তব্য করুন