বন্যা আর করোনায় দিশেহারা ঢাকার দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ (ভিডিও)
বন্যায় ভেসে গেছে দোহার উপজেলা আর নবাবগঞ্জ উপজেলায় ঈদ আনন্দ। গত পাঁচ মাস ধরেই যাচ্ছে করোনার ধাক্কা। সেই সাথে মাসখানেক ধরে যুক্ত হয়েছে বন্যা। এই দুইয়ে মিলে এখন দিশেহারা ঢাকা জেলার এই দুই উপজেলার এক লাখ মানুষ।
দোহার উপজেলার হামিদা বেগমের বয়স ৭০ এর উপরে, বাড়িতে কর্মক্ষম দুই ছেলে। কিন্তু গত তিনমাস ধরে করোনার কারণে কাজ হারিয়ে দুই ছেলেই এখন অনেকটা বেকার। এর মধ্যে মরার উপর খাড়া ঘা হয়েছে দাঁড়িয়েছে বন্যা। একমাস ধরে ডুবে আছে বাড়ির প্রতিটি ঘর। ঈদের দিনেও মেলেনি একটু ভালো খাবার।
তিনি বলেন, ঈদে কি খাব, আল্লাহ যা রাখছে কপালে তাই খাইছি। পানির জন্য কোথাও যেতে পারি না আবার আমাদের তো নৌকাও নাই।
৭০ বছরের জীবনে পরিবারে এমন সংকটের মুখে পড়তে হয়নি হামিদা বেগমকে। করোনা পরিস্থিতি কোনোমতে কাটিয়ে উঠলেও বন্যা এই পরিবারটিকে অনেকটা ডুবিয়ে দিয়ে গেছে।
শুধু হামিদা বেগম নয় বন্যা ও করোনার থাবায় ঈদের আনন্দ এখন অনেকটাই ফিকে ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার বানভাসি মানুষের।
এলাকার গৃহিণীরা বলেন, অনেক কষ্ট হচ্ছে। অন্যের বাড়িত থাকতে হচ্ছে। আমাদের ঈদ নেই, আজ ভাত রান্না করছি। আর ভালো কিছু রান্না করার কিছুই নেই আমাদের। আমরা কোনও ত্রাণ পাই না। যার কাছেই যাই তারা অন্য লোক দেখিয়ে দেয়।
এমন সংকটে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে না পাওয়ার ক্ষোভ রয়েছে সংকটে থাকা মানুষগুলোর। গত একমাস ধরে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় ভিজিএফ এর চাল ও রান্না করা খাবার বিতরণের কর্মসূচী দেখা গেলেও তা ছিল অনেকটা অপ্রতুল। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ মনে করেন, এমন দুর্যোগে আরও ব্যাপক চিন্তা চেতনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে সরকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
এসএ/এসএস
মন্তব্য করুন