চাঁদাবাজ থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বরকত-রুবেল (ভিডিও)
ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই বরকত-রুবেল নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন ত্রাসের রাজত্ব। মাত্র কয়েক বছরেই হয়ে উঠেছিলেন আঙুল ফুলে কলাগাছ। গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। বিদেশে পাচার করেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এ সবই করেছেন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও জমি দখল করে।
সাজ্জাদ হোসেন বরকত ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আর তার অন্য ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ফরিদপুরের মানুষ।
পড়ালেখায় এসএসসির গন্ডি পার হওয়া সম্ভব হয়নি এই দুই ভাইয়ের। এক সময় যানবাহন থেকে চাঁদা তুলে জীবন চলতো তাদের। রাজনৈতিক পরিচয় আর প্রভাবশালীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে ঘুরে যায় তাদের ভাগ্য। বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ফরিদপুরের আলোচিত এই দুই ভাই বরকত ও রুবেল। চাঁদাবাজি, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গড়ে তোলেন বিলাসী জীবন।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোকাররম বাবু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ মুখার্জির হাত ধরে তাদের ঠাঁই হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রশাসনের সহযোগিতা আর অবৈধ টাকার সুবাদে সুযোগ বুঝে রাতারাতি ‘ভোরের প্রত্যাশা’ নামে একটি পত্রিকা বের করে ফেলেন। আর কথিত পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।
ক্ষমতা আর অর্থের দাপটে ফরিদপুর প্রেস ক্লাব আর বাস মালিক সমিতির দখলও নেন এই দুই ভাই। ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চরবাসীর ৮০০ একর জমি দখল করে গড়ে তুলেছে বরকত ডেইরি ফার্ম।
বরকত-রুবেলকে যারা লালন পালন করেছেন তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, বরকত-রুবেলসহ যারা সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত তাদের সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
এসএ/পি
মন্তব্য করুন