করোনাভাইরাস উপেক্ষা করে মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরীর জানাজায় মানুষের ঢল
কক্সবাজারের বরেণ্য আলেমে দ্বীন, জেলা তাবলীগ জামাতের আমীর ও রামুর অফিসেরচর ইসলামিয়া কওমিয়া কাছেমুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরীর জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (৩ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে জানাজায় শরিক হয় হাজারো মানুষ।
বিশাল এই জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরীর একমাত্র ছেলে মাওলানা হাফেজ তারেক।
জানাজার আগে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হাটহাজারী মাদরাসার মুফতি ও মুহাদ্দিস এবং তাবলীগ জামাতের চট্টগ্রাম জেলা আমীর মুফতি জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, চট্টগ্রাম জামিয়া দারুল মা'আরিফ আল-ইসলামিয়ার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি কক্সবাজার জেলা আমীর মাওলানা হাফেজ ছালামতুল্লাহ, কাকরাইল মসজিদের প্রতিনিধি মাওলানা বেলায়ত হোসাইন, রামুর প্রবীণ আলেম দ্বীন হাফেজ আবদুল হক, রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মোহছেন শরীফ, মরহুমের ছোট ভাই রামু চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল আলম চৌধুরী, রামুর অফিসেরচর এমদাদিয়া ইসলামিয়া কওমিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিনিধি মাওলানা আ. হ. ম নুরুল কবির হিলালী, রামু ইসলামী সম্মেলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এসে মোহাম্মদ হোসেন, ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর।
---------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টারে ঢাকা আনা হলো করোনা আক্রান্ত এমপি সালমাকে
---------------------------------------------------------------
জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরী রবিবার (২ আগস্ট) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের সিপাহীরপাড়া গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি রামুর বিশিষ্ট জমিদার মরহুম সুলতান আহমদ সওদাগরের ৭ম ছেলে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি কয়েকদিন ধরে অসুস্থবোধ করছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ মেয়ে, ১ ছেলে এবং অসংখ্য ভক্ত, গুণগ্রাহী রেখে যান।
মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরী বাংলাদেশ তাবলীগ জামায়াতের জাতীয় মজলিসে সূরা সদস্য এবং কক্সবাজার জেলা তাবলীগ জামাতের আমীর (জিম্বাদার)। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ মুবাল্লীগ। তাবলীগের জামায়াতের দাওয়াত প্রচার করতে গিয়ে তিনি বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে ভ্রমণ করেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন রামুর ঐতিহ্যবাহী ফতেখাঁরকুল অফিসেরচর ইসলামিয়া কওমিয়া কাছেমুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ মাদরাসা জামে মসজিদেই তিনি মৃত্যুর আগের দিন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আযহা এবং দুদিন আগে পবিত্র জুমার নামাজে ইমামতি করেন। তিনি রামু ইসলামি সম্মেলন পরিষদের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি অনেক ধর্মীয়, সেবামূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে জানাজায় লাখো মানুষ অংশগ্রহণের বিষয়ে জানার জন্য রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়েরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
এসএস
মন্তব্য করুন