আমতলী-তালতলী সড়ক এখন মরণফাঁদ
সংস্কারের অভাবে বরগুনার আমতলী-তালতলী সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়কে খানা খন্দের কারণে ইট সুরকি সরে মাটি বের হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে অনেক জায়গায় হাঁটু পরিমাণ কাঁদার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির সময় সড়কের খানা খন্দে পানি জমা অবস্থায় আকস্মিক কেউ দেখলে মনে হবে এটা সড়ক নয় যেন ডোবা নালা। সড়কের এরকম বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা মানুষের পায়ে হেটেও চলাচল দায় হয়ে পরেছে। তালতলী উপজেলা থেকে ঢাকা বরিশাল কিংবা দেশের অন্য যেকোনো স্থানের সাথে সড়ক যোগাযোগের এটিই একমাত্র সড়ক তালতলী উপজেলাবাসীর। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, আমতলী-তালতলীর ফকিরহাট পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক। ২০১২ সালে আমতলী-তালতলী সড়কটি সর্বশেষ সংস্কার করা হয়। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আমতলী-তালতলীর অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষ আমতলী তালতলীসহ দেশের যেকোনো স্থানে যাতায়াত করে। ঢাকা বরিশালের সাথে তালতলীবাসীর যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি।
দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় এই সড়কের মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কে হাজার হাজার খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। খানাখন্দের কারণে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা মানুষের পায়ে হেটেও চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। বর্তমানে পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। এই সড়ক সংস্কার করা না হলে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এমনটাই আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী ও সড়কে চলাচলকারী বাস ও যান্ত্রিক যান ত্রি-হুইলার চালকরা। স্থানীয়রা অভিযোগ, ঠিকাদার সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সড়কের এ বেহাল দশা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক বেহাল। ওই সড়কের প্রতি ২০-৩০ গজ দূরত্বে রয়েছে হাজার হাজার ছোট খাটো ডোবা নালার মতো অবস্থা। সড়কে খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় ইট পাথরের খোয়া বেড়িয়ে গেছে। অনেক জায়গায় ইট সুরকি সড়ে যাওয়ায় মাটি বের হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে হাঁটু পরিমাণ কাঁদায় পরিণত হয়েছে সড়ক। এই সড়ক দিয়ে বর্তমানে বাস ও মাহেন্দ্রা চলাতেও ভয় পায় চালকরা। সড়কের এমন দশার কারণে প্রতিদিন ঘটছে অসংখ্য দুর্ঘটনা।
এই সড়কের আরপাঙ্গাশিয়া নামক স্থানে রয়েছে একটি বাজার। বাজারের এই সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। সড়কের দুই ধারে রয়েছে শতাধিক দোকান। সড়কের এই স্থানের অধিকাংশ জায়গার কার্পেটিং, ইটখোয়া সড়ে মাটি বেড় হওয়ায় প্রচণ্ড কাঁদার সৃষ্টি হয়েছে। কাঁদার কারণে বৃষ্টির সময় পানি জমার কারণে হাটের দিন কোনও ক্রেতা বিক্রেতারা বসতে পারে না। সড়কে পানি জমার কারণে সড়কের পাশের দোকানিরাও ঠিকমত তাদের ব্যবসা চালাতে পারে না।
বাসের চালক মো. শানু হাওলাদার জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে বাস চালাতে হয়। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবী জানাই।
বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, সড়কের খোয়া সুরকি সড়ে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সময় দূর থেকে দেখলে মনে হয় সড়কে যেন ডোবা নালার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই স্থান দিয়ে বাস কিংবা অন্য যান বাহন চলাচলের সময় গর্তে জমে থাকা পানি এবং কাঁদা ছিটে দোকানের মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। তাই সবসময় আমাদের আতঙ্কের মধ্যে দোকানে বসতে হয়।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা জাফর বিশ্বাস বলেন, এটা সড়ক নয় যেন খাল। সড়ক দিয়ে গাড়ি ও মানুষ চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত সড়ক মেরামতের দাবী জানাই।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি খোঁজ খবর নিয়ে পদক্ষেপ নেবো।
এসএস
মন্তব্য করুন