• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়ক প্লাবিত, যান চলাচল বন্ধ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৬ জুলাই ২০২০, ১৮:২৫
Shariatpur-Dhaka highway flooded, traffic stopped
শরীয়তপুরে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: আরটিভি নিউজ

শরীয়তপুরে বন্যার পানিতে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। এতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এদিকে, বন্যার পানিতে শরীয়তপুর ঢাকা মহাসড়ক প্লাবিত হয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ।

আজ রোববার (২৬ জুলাই) শরীয়তপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি এসব মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। প্রতিনিয়তই বাড়ছে খাদ্য সংকট, বিভিন্ন সমস্যায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

জানা যায়, বন্যা কবলিতদের মাঝে বিতরণের জন্য এ পর্যন্ত ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মাত্র ৪৮০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক পানিবন্দি বন্যার্তদের বিপরীতে একেবারেই অপ্রতুল। এছাড়া পানি বাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এসব এলাকার মানুষ। গভীর নলকূপ ডুবে বিশুদ্ধ পানিসহ শুকনো খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে।

নড়িয়া উপজেলার ভূমখাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হামিদা বেগম জানান, ‘আজ ১০ দিন যাবত বন্যার পানিতে বাড়িঘর সব তলিয়ে গেছে। সামান্য কিছু মাল-ছামানা নিয়ে রাস্তার পাশে মাচা তৈরি করে কোনো মতে দিন কাটাচ্ছি। এ পর্যন্ত পাঁচবার মাথা উঁচু করেছি। তবুও পানি বাড়তে আছে। আজও মাচা ছুঁই ছুঁই পানি হয়ে গেছে হয়তো আবার উঁচু করতে হবে। রাতে অনেক ভয় হয় অনেক সময় সাপ চলে আসে।

পানির জন্য রান্নাবান্না ঠিকমতো করতে পারিনা। বাচ্চাদের ঠিকমতো খাওয়াতে পারছি না। এ অবস্থায় সরকার যদি আমাদের কোনো সাহায্য সহযোগিতা করতো তাহলে ভালো হতো। টাকার অভাবে টিন দিয়ে ঘর তুলতে পারতেছি না। আজ মন্ত্রী মহোদয়ের পক্ষ থেকে কিছু ছাত্ররা এসে শুকনো খাবার দিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত আর কোনো সাহায্য পাইনি। কয়েকবার টিনের জন্য আবেদন করেছিলাম কিন্তু এ পর্যন্ত পাইনি।’

পানিবন্দি আরেক অসহায় নারী সায়রা বেগম জানান, স্বামী অসুস্থ। কোনো ছেলে সন্তান নাই। নিজেই কাজ করে কোনো মতে সংসারটা চালাতাম। বন্যার পানিতে এখন কোনো কাজ নাই। আবার ঘরেও তেমন কোনো খাবার নেই। অনেক কষ্ট করে দিনযাপন করতে হচ্ছে।

নড়িয়া উপজেলার একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা একজন জানান, অনেক কষ্ট করে পানি দিয়ে হাসপাতাল এআরসি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। এখানে এসে দেখি হাসপাতাল তলিয়ে গেছে। অনেকক্ষণ বসে থাকার পরে এমার্জেন্সি থেকে একজন ডাক্তার এসে পাশের ওষুধের দোকানে বসিয়ে চিকিৎসাসেবা দিলেন।

নড়িয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী হাসান মিয়া জানান, ‘আমরা উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বানভাসি মানুষের পাশে কাজ করে যাচ্ছি। যেসব বাড়িতে নলকূপ ডুবে গেছে আমরা সেগুলো উঁচু করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে পানি বিশুদ্ধিকরণ পাউডার বিতরণ করছি।’

এছাড়া আমাদের অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম তিনি সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমরা তার নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছি বানভাসি মানুষের।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আজ পোস্তগোলা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ, শঙ্কা বাড়তি যানজটের
সন্ধ্যা থেকে ঢাকার যেসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ
ফের বান্দরবানের ৩ উপজেলায় যান চলাচল বন্ধ
মহাসড়কে হাটবাজার অপসারণ ও অবৈধ যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ
X
Fresh