• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আরটিভি নিউজ

  ২৬ জুলাই ২০২০, ০৯:২৩
Deterioration of flood situation in Brahmanbaria
ছবি সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ পয়েন্টে ও তিতাস নদীর চারটি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার নবীনগর, নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়ি ঘরে পানিতে তলিয়ে গেছে। মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে আশুগঞ্জ শহর হুমকির মুখে রয়েছে। অব্যাহত ভাবে দু’ফুট পানি বৃদ্ধি হলেই আশুগঞ্জ শহরের পানি প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক রয়েছে। সরাইল উপজেলার অরুয়াইল-সরাইল সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।

এছাড়া জেলা বিভিন্ন এলাকার তলিয়ে গেছে রাস্তা ঘাট, আউশ ধান, ফসলী জমি, বসত ভিটা। পানিবন্দি হয়ে বহু পরিবার বাড়ি ঘর ছেড়ে এখন উঁচু স্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে।

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফী জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়েছে। এবং বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া পরিবার গুলোকে চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রঞ্জন কুমার দাস জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর চারটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে তিতাস নদীর নবীনগর পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার, সরাইলের আজবপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কুরুলিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার এবং গোকর্ণঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মেঘনা নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার নিচে আছে। প্রতিদিনই মেঘনা নদীর পানি অন্তত ৭ থেকে ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া হাওড়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও আখাউড়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৯ ও গঙ্গাসাগর পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানান, ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় পানিবন্দি পরিবারগুলোকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনা হয়েছে এবং তাদের মাঝে নগদ টাকা এবং খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভারী বৃষ্টিতে সৌদিতে স্কুল বন্ধ, বন্যার সতর্কতা
বন্যা-ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ায় ২৬ প্রাণহানি
পানি উন্নয়ন বোর্ডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
X
Fresh