• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইউপি সদস্যসহ দুজন নিহত

টেকনাফ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৪ জুলাই ২০২০, ১৭:২৮
Police death youth
ছবি সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন ইউপি সদস্যসহ দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং এলাকার বাসিন্দা ও নয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বখতিয়ার উদ্দিন ওরফে বখতিয়ার মেম্বার (৫৫) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ই ব্লকের বাসিন্দা ইউসুফ আলীর ছেলে মোহাম্মদ তাহের (২৭)।

পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত দুজন তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ লাখ টাকা, ২০ হাজার পিস ইয়াবা, দেশীয় পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র (এলজি), ১৭টি তাজা গুলি ও ১৩টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের চারজন সদস্য সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফকরুজ্জামান, উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম, কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাবিব ও আবু হানিফ আহত হন।

আজ শুক্রবার ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং সৌদিপ্রবাসী নুর হোসেনের বাগানে এই বন্দুকযুদ্ধ ঘটে। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।

ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মাদক বিক্রির ১০ লাখ টাকাসহ মাদক মামলার পলাতক আসামি বখতিয়ার ও তাহেরকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাদেরকে নিয়ে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং সৌদিপ্রবাসী নুর হোসেনের আকাশি গাছের বাগানে মজুত রাখা ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে পুলিশের চারজন সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় দুই দলের গোলাগুলির মাঝখানে পড়ে বখতিয়ার মেম্বার ও তাহের গুলিবিদ্ধ হন। মোহাম্মদ ইউনুস নামে আরও একজনকে সুস্থ অবস্থায় আটক করতে পুলিশ সক্ষম হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ভোরে পুলিশ ছয়জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সাধারণ পোশাকে থাকা গুলিবিদ্ধ দুজনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে পুলিশের চার সদস্যকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ভোরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে । এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

২০১৮ সালের চার মে থেকে সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মানব পাচারকারী দালাল চক্র ও ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চার নারীসহ শুধু কক্সবাজার জেলায় ২৬৫জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই নারীসহ ১০২ জন রোহিঙ্গা।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বস্তায় হাত দিতেই ছোবল, প্রাণ গেল ৩ সন্তানের জননীর
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু 
গণপিটুনিতে ২ জনের মৃত্যু
মেহেদির রং শুকানোর আগেই প্রাণ গেল প্রবাসী যুবকের
X
Fresh