• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিচার চাওয়ার যোগ্যতা অথবা অপরাধেরও উঁচুতে উচ্চ বংশীয়রা

মামুনুর রহমান খান

  ২০ জুন ২০২১, ১৯:১৮
বিচার

আপনি নির্যাতিত, প্রতারিত, নিগৃহীত কিংবা লাঞ্চিত হলেন, তাই বলে সাথে সাথে বেহায়ার মতো আপনাকে বিচার চাইতে হবে? থামুন, আগে ভাবুন আপনার কি বিচার চাওয়ার যোগ্যতা আছে? কোন ঘটনার স্বীকার হলে বিচার চাওয়ার আগে মাথা ঠাণ্ডা করে ভাবতে হবে, অপরাধ সংগঠনে আপনি কিভাবে ভূমিকা রেখেছেন।

এরপর ভাবুন আপনি ৩০, ৪০ কিংবা ৫০ বছরের জীবনে কখনো কি কোন ভুল করেননি? আইন লঙ্ঘন করেননি? লাল লাইটে রাস্তা পার হননি? আপনার খুড়তুতো ভাই কি যৌবন কালে একবারও শুড়িখানায় উঁকি দেয়নি? আপনার ১৪ পুরুষের কেউ কি ভুল করেও কারো সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেনি? দেখেন এর কোনটা ঘটলেও আপনার বিরুদ্ধে এতো দিন কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নিজেকে ভাগ্যবান ভেবে খুশি থাকেন।

আপনি নারী হলে তো কথাই নেই। আপনার কথা বলার ঢং কি শালীন? আপনার চাহনি ঠিক আছে তো? আপনি বোরকা পরলেও তা কোনভাবে কোনো পুরুষের চোখকে পিড়া দিচ্ছে না তো? এসব ভাবুন, দশ বার ভাবুন। মনে রাখতে হবে অপরাধীর অপরাধের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো নারীর দুর্বলতা অনুসন্ধান। সে হোক ভুক্তভোগী।

এরপর আপনার বংশ পরিচয় বিচার করুন। আপনি কে? উঁচু বংশীয় কেও হলে বিচার আপনি চাইতেই পারেন। এটি তো আপনারই অধিকার। পদ, বিত্ত বিবেচনা করে নিন।

তারপর ভাবুন কার বিরুদ্ধে বিচার চাইছেন? মনে রাখবেন যারা উঁচু বংশের তাদের অপরাধও স্পর্শ করতে পারে না। তারা পাহাড়ের খুব উঁচুতে বাস করে, অতো উপরে আগাছাও জন্মায় না আর ছোটখাটো অপরাধ তো পৌঁছাতেই পারে না। বিত্তশালী, প্রভাবশালী, উচ্চপদস্থরা দু-চারটা ঘটনা ঘটাতেই পারে, তাকে কি দোষ বলা যায়? এসব নিয়ে আবার আলোচনা কিসের? এই যে বিভিন্ন ঘটনায় আমরা কি সফলতার সাথে ভুক্তভোগীদের দোষ খুঁজে বের করতে পেরেছি। আর অপরাধী প্রভাবশালী হওয়ায় অপরাধ তো তাকে স্পর্শই করতে পারেনি। না হলে নিশ্চয় তাদের অপরাধ নিয়ে আমরা বিচলিত হতাম। যা হোক আজেবাজে কিছু নারী-পুরুষ সব সময় অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে উঁচু বংশে কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যে কুটিল ষড়যন্ত্র করেই থাকে। যুগে যুগে এমন ষড়যন্ত্রই হয়ে এসেছে। আর রাষ্ট্রও যে কি, কঠোর আইন করে ঐসব দুষ্কৃতিকারীদের অপকর্ম চিরতরে বন্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।

যা হোক ঐসব অপচেষ্টায় দোর্দন্ড প্রতাপশালী সমাজের হর্তাকর্তা, অর্থনীতির চালিকাশক্তিদের উদ্দাম কি থামানো যায়! কখনও না। এসব চিন্তা করাও বালখিল্যতা। তাই বলি এমন কোথাও যাবেন না, এমন কিছু করবেন না, এমন কিছু পরবেন না যেন আপনাকে নিয়ে খারাপ কিছু করার চিন্তা উঁচু বংশীয়দের মনে উঁকি দেয়। এর দায় তো আসলে আপনারই। তারপরও নিজেকে নির্যাতিত, নিগৃহীত, লাঞ্চিত বা প্রতারিত মনে করার অপচিন্তা মনে উকিঁ দিলে আগে হিসাব করে নিন, বিচার চাওয়ার যোগ্যতা আপনার আছে কি?

এটি নিছক একটি আষাঢ়ে লেখা। এরসাথে বাস্তবতার মিল খুঁজতে চাওয়া হবে আপনার বালক মনের অপরিপক্কতার বহি:প্রকাশ। তার ওপর আমার হাতের লেখা খারাপ, বানানও ভুল। মাফ করবেন।

লেখক: মামুনুর রহমান খান
সাংবাদিক

মন্তব্য করুন

daraz
  • নির্বাচিত কলাম এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সৃজনের আনন্দে কড়া নাড়া : জোবায়ের মিলনের গল্প
X
Fresh