মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমুল হাসান রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-২।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে রাসেলকে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ ইফতেখার হাসান বলেন, রাত পৌনে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমুল হাসান রাসেলকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে।
তবে র্যাব কোন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে সে বিষয়টি বলতে পারেননি তিনি।
মন্তব্য করুন
১২ দেশের মুদ্রা ও ৬ পাসপোর্ট নিয়ে পালাচ্ছিলেন সালমান এফ রহমান
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ১২টি দেশের মুদ্রা এবং ছয়টি পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় রিমান্ড আবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক মো. সজীব মিয়া।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সালমান এফ রহমানের কাছে থেকে ১২ হাজার ৬২৪ ইউএস ডলার, ৬২০ সুইস ফ্রাংক, সাড়ে ৮ হাজার দিরহাম, উজবেকিস্তানের ১৩ লাখ সোম, ১১ হাজার ৬৫০ রিয়াল, ৭৭৯ সিঙ্গাপুরের ডলার, দেড়শ পাউন্ড, এক হাজার ৩২১ ইউরো, ৫০ হাজার টাকা, ভুটানের ৬ হাজার ২৩০ গুলট্রাম, এক হাজার রুপি, থাইল্যান্ডের তিন হাজার ৩২০ বাথ জব্দ করা রয়েছে।
পাশাপাশি তার কাছে থেকে পাঁচটি সবুজ রঙের পাসপোর্ট ও একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে ১৭ হাজার ৫১২ ইউএস ডলার, ৭২৬ সিঙ্গাপুরের ডলার এবং তিনটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলী (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হকের দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত এ আদেশ দেন।
ঢামেকে অভিযানে মদের বোতল-পুলিশের সিল ও অস্ত্র উদ্ধার
দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুই ওয়ার্ড মাস্টারসহ ৫ কর্মচারীকে আটক করে হাসপাতাল পরিচালকের কাছে সোপর্দ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে তাদের আটক করা হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে ঢামেকের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিনের বসার কক্ষ থেকে একটি খালি মদের বোতল, পুলিশ কেইসের সিল, দা, লাঠিসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ভিজিটিং কার্ড, বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিসিট বইসহ, বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের একজন ইস্তিয়াক বলেন, রিয়াজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরেক ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমানকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা জানিয়েছেন, জিল্লুর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্যায়ভাবে ডেইলি বেসিস হিসাবে অনেককে চাকরি দিয়েছেন। একই অভিযোগ রিয়াজের বিরুদ্ধেও।’
তিনি বলেন, আমরা কোটা সহিংসতায় আহতদের প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিতে আসি। তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মাঝে কর্মচারীদের অনিয়ম-দুর্নীতি চোখে পড়ে।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বেশ কিছু শিক্ষার্থী বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুই সরকারি কর্মচারীসহ ৫ জনকে আটক করে আমাদের কাছে দিয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগগুলো শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেট্রোরেল শনিবার চালু হচ্ছে না
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ ২৭ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী শনিবার (১৭ আগস্ট) থেকে মেট্রোরেল চালু হওয়ার থাকলেও সে কথা রাখতে পারছে না পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ফলে আগামী শনিবারও বন্ধ থাকছে মেট্রোরেল।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়, সরকার গত ১১ আগস্ট ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) আওতায় পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণাধীন এমআরটি লাইন-৬ এর মেট্রো ট্রেন চলাচল প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সাত দিনের মধ্যে পুনরায় চালু করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে। অনিবার্য কারণবশত মেট্রোরেল পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাত্রীবিহীন পরিচালন পরীক্ষণ শেষে মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশন ব্যতীত অপর ১৪টি স্টেশন সমন্বয়ে মেট্রোরেল পুনরায় চালুর নিমিত্তে মেট্রোরেল সিস্টেম ও মেট্রো ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আবশ্যক। এ প্রেক্ষাপটে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মেট্রোরেল পুনরায় চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, অবিচার ও বৈষম্য দূরীকরণে ছয় দফা দাবি আদায়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সাত শতাধিক কর্মচারী। জানা গেছে, এখনও তারা কর্মবিরতিতে আছেন। ফলে ট্রেন চালানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে অফিসে থাকলেও কাজ করছেন না।
কর্মবিরতিতে যাওয়া কর্মীদের দাবিগুলো হলো
১। সব গ্রেডে একই রকম বেতন কাঠামো, যা জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর ২.৩ গুণ হারে যোগদানের তারিখ থেকে বকেয়াসহ দিতে হবে।
২। চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে বকেয়াসহ সেন্ট্রাল প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ) সুবিধা দিতে হবে।
৩। অন্যান্য সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি ও অন্যান্য দেশের মেট্রোর পদ্ধতির সঙ্গে সমন্বয় করে পদোন্নতির ব্যবস্থা চালু এবং সব ধরনের ভাতা সম্বলিত সার্ভিস রুলস দ্রুত সময়ের মধ্যে দিতে হবে।
৪। শিক্ষানবিশকাল শেষে স্থায়ীকরণ করতে হবে।
৫। স্টেশন ও ডিপোসহ সব স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬। কর্মক্ষেত্রে স্বৈরাচারী মনোভাব ও বৈষম্যমূলক আচরণ এবং ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো যাবে না।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় মেট্রো লাইনের নিচের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই ট্রেন ছুটে যায়। পরে জননিরাপত্তার স্বার্থে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার পর মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরদিন ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ অনেক কিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। ওইদিন পল্লবী ও মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশনেও হামলা হয়।
২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ পর্যন্ত সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় মেট্রোরেল। এরপর ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর চালু করা হয় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করতেন।
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের আউটসোর্সিং কর্মচারীরা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের আউটসোর্সিং ও দৈনিক মুজুরি ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা শাহবাগে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বহু বছর ধরে বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। আওয়ামী লীগ সরকার চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ বন্ধ করে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ শুরু করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তাদের দাবি, অবিলম্বে চাকরি রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্তিকরাসহ ঠিকাদারি প্রথা বিলুপ্ত করতে হবে।
ডিএমপিতে আবারও বড় রদবদল
ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) আবারও বড় রদবদল করা হয়েছে। এবার একযোগে ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদ মর্যাদার ১২ কর্মকর্তাকে ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়েছে।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
তালিকা দেখতে ক্লিক করুন
‘ডিবির হারুন আছে’ সন্দেহে বাড়ি ঘেরাও, অতঃপর...
মিরপুর উত্তর পীরেরবাগের একটি ভবনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ লুকিয়ে আছেন বলে সেটি ঘিরে রাখেন স্থানীয়রা। তবে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। ওই ভবনে লুটপাত করার উদ্দেশ্যে এই গুজব ছড়ান প্রিন্স নামের এক যুবক।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দেয়াল টপকে হারুনকে খুঁজতে কয়েকজন ওই ভবনের ভিতরে ঢুকে সিসিক্যামেরা ভেঙে চেষ্টা চালায় কলাপসিবল গেট ভাঙার। বাড়ির নিরাপত্তায় ছিলেন মালিকের আত্মীয় রিপন। অবস্থা বেগতিক দেখে গেট খুলে দেন তিনি। ভবনে ঢুকে প্রবেশকারীরা নিজেদের শিক্ষার্থী বলে দাবি করেন। তাদের মধ্যে শাওন নামে একজন নিজেকে পরিচয় দেন সাংবাদিক হিসেবে। নিচের ফ্লোরে কিছু না পেয়ে, মালামাল ও আসবাবপত্র থাকা ২য় ও ৩য় তলার তালা খোলার জন্য চাপ দিতে থাকে। এমন সময় সেখানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা পৌঁছে শিক্ষার্থীদের ও ওই সাংবাদিকের পরিচয় জানতে চাইলে মুহূর্তেই পালটে যায় পরিস্থিতি। তারা নিজেদের পরিচয় প্রমাণে ব্যর্থ হলে তাদের ওপর চড়াও হন স্থানীয়রা। সন্দেহ বাড়ে ডাকাতির। পরে গুজব রটনাকারীকে ধরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন তারা।
এরপর গুজব ছড়ানোর মূল হোতা প্রিন্সকে ধরে আনেন তারা। প্রিন্স বলেন, ‘ডিবি হারুনের প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে। কথা হবার পর, আমি বলেছি হারুন সম্ভবত উত্তর পীরেরবাগে আছেন। লোকেশন আমি গুগল ম্যাপে দেখাতে পারবো। যারাই সেখানে যাবেন, প্রথমে এলাকার মুরব্বি ডেকে কথা বলবেন। তারপর মুরব্বিদের নিয়ে ওই বাসায় যাবেন এবং কথা বলবেন যে, আমরা ইনফর্মেশনের ভিত্তিতে এসেছি।’
এরপর গণমাধ্যম কর্মীরা প্রিন্সের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে পীরেরবাগের ওই বাসায় গিয়ে জানতে পারেন, বাসাটির ভাড়াটিয়া সাদিকুর থাকেন সৌদি আরবে। গুজব ছড়িয়ে ফাঁকা বাসায় লুটপাট করতেই এমন গুজব ছড়ানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
মেয়র আতিকের আসার খবরে ডিএনসিসি ভবন ঘেরাও
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম তার কার্যালয়ে এসেছেন- এমন খবর শুনে ডিএনসিসি ভবন ঘেরাও করেছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন।
রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে গুলশান-২ এ অবস্থিত নগর ভবনের বাইরে ঘটেছে এ ঘটনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএনসিসির এক কর্মকর্তা।
তিনি জানিয়েছেন, মেয়র আতিকুল ইসলাম নগর ভবনে এসেছেন, এমন খবর শুনে নগর ভবনের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছিলেন স্থানীয় লোকজন। মূলত মেয়রের অপসরণের দাবিতে তারা সেখানে একত্রিত হয়েছিলেন। আনুমানিক রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে মেয়র নেই শুনে শান্ত হোন বিক্ষোভকারীরা এবং সেই জায়গা ছেড়ে চলে যান তারা।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে সিটি কর্পোরশনের পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। সেই হিসেবে এখন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন সেখানকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা দেশ ছেড়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছেন অনেকে। এ অবস্থায় বেশকিছু নেতাকর্মী বিভিন্নভাবে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন। তবে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম দেশ ছেড়ে যাননি, তিনি দেশেই আছেন। অবশ্য বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তিনি লোকচক্ষু এড়িয়ে চলছেন বলে জানা গেছে।