• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo

মেট্রোরেলবিহীন রাজধানীতে যাতায়াতের সঙ্গী পুরনো ভোগান্তি

আরটিভি নিউজ

  ৩০ জুলাই ২০২৪, ১৩:৩৫
মেট্রোরেলবিহীন রাজধানীতে যাতায়াতে সঙ্গী পুরনো ভোগান্তি
ফাইল ছবি

যানজটের রাজধানীতে অপার স্বস্তি নিয়ে এসেছিল মেট্রোরেল। পুরোদমে চালুর পর যানজটের অসহনীয় ঝক্কি প্রায় ভুলেই গিয়েছিল নগরবাসী। গতি পেয়েছিল ঢাকার চাকা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দুই স্টেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় পরম স্বস্তিদায়ক যাতায়াত ব্যবস্থাটি; দেশজুড়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নেমে আসে কারফিউ।

টানা দেড় সপ্তাহ থমথমে সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করেছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। শিথিল হয়ে এসেছে চলমান কারফিউর বিধি-নিষেধও। এ অবস্থায় জীবন-জীবিকার তাগিদে সড়কে নেমেই মেট্রোরেলের শূন্যতা টের পেতে শুরু করেছে ঢাকাবাসী। বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে সঙ্গী হয়েছে ভুলতে বসা যানজটের ভোগান্তি।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে এই ভোগান্তিতে বাড়তি মাত্রা যোগ করে বৃষ্টি। সাশ্রয়ী খরচে অফিস-আদালতে পৌঁছাতে একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে বাস। শুধু সড়কে গাড়ির লম্বা সারিই নয়, প্রতিটা বাসের ভেতরও চোখে পড়ে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।

আগারগাঁওয়ে যানজটে আটকে থাকাকালে কথা হয় জুনায়েদ হায়দার নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। বাংলা মোটরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। জুনায়েদ বলেন, মিরপুর ১১ থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত যেতে এই লক্কড়-ঝক্কড় বাসের ভোগান্তি ভুলেই গিয়েছিলাম। বাসে উঠে এক ঘণ্টার একটা ঘুম দিয়েও উঠে দেখতাম, কারওয়ান বাজার আটকে আছি। তখনকার ভোগান্তি বলে বোঝানো যাবে না। মেট্রোরেল চালুর পর এই বাসে চড়া একরকম ভুলেই গিয়েছিলাম। এতদিন পর এভাবে যাতায়াত করতে গিয়ে আর যেন সহ্য হচ্ছে না।

মাস চারেক আগে পান্থপথ থেকে কাজীপাড়ায় পরিবারসহ স্থানান্তরিত হয়েছেন সোহানুর রহমান। তিনি বলেন, এই মেট্রোরেলের জন্যই খরচ বাঁচাতে কাজীপাড়ায় থাকছি। অফিস মতিঝিলে। একদিকে খরচ বাঁচে, অন্যদিকে সময় বাঁচে, সবকিছু চিন্তা করে বাসা শিফট করলাম। মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় যাতায়াতে অনেক বেশি খরচ হচ্ছে। অফিসে পৌঁছাতেও দেরি হচ্ছে। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান; দেরি হলে বেতন কাটা যায়। মেট্রোরেল কবে আবার চালু হবে, তাও বোঝা যাচ্ছে না। এভাবে যদি বন্ধই থাকে মেট্রোরেল, খুব কষ্ট হয়ে যাবে টেকা।

মেট্রোরেল চালুর ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএন সিদ্দিকের কাছে। তিনি বলেন, ‘স্বাচ্ছন্দ্যময় যাতায়াতের জন্য খুব অল্পদিনেই রাজধানীবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল মেট্রোরেল। কিন্তু গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মেট্রোরেলের কয়েকটি স্টেশন ভাঙচুর করা হয়েছে। আপাতত মেট্রোরেল চালু করার বিষয়ে আমাদের কোনো টার্গেট নেই।’

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর প্রতিদিন দুই লাখ ৭০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করত।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মেট্রোরেল বন্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
শুক্রবার নতুন শিডিউলে চলবে মেট্রোরেল
দুই দিনের রিমান্ডে রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজান
ঢাকা উদ্যানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পিস্তল-গুলি উদ্ধার