রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৬৫
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)।
সোমবার (১৩ জুন) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ডিএমপি জানায়, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার (১২ জুন) সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৫১০ পিস ইয়াবা, ৩৫৫ গ্রাম হেরোইন, ১৪৫ কেজি ৮৭৫ গ্রাম গাঁজা ও ৫০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩৯টি মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্বামীকে ফোন করে বাঁচার আর্তনাদ, পরে সন্তানসহ মিলল লাশ
রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মা ও দুই শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন নাজিয়া আক্তার (৩১) ও তার দুই সন্তান আয়ান (৮), আয়াত (৬)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাজিয়ার আত্মীয় রিফাত হোসেন জানান, নাজিয়ার স্বামী মো. আশিক ব্যবসার কাজে বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় বনানীতে যান। সে সময় দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ওই ভবনের একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান নাজিয়া। আগুন লাগার পর নাজিয়া তার স্বামীকে ফোন দিয়ে বাঁচার আর্তনাদ করেন। পরে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভয়াবহ এই আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ২২ জন। এরমধ্যে ৮ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এবং ১৪ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। আহতদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বেইলি রোডে আগুন / ভবন কর্তৃপক্ষকে ৩ বার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা ওই ভবনের কর্তৃপক্ষকে তিনবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
মাইন উদ্দিন বলেন, ওই ভবনে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য কেবল একটি ছোট সিঁড়ি ছিল। ভবন কর্তৃপক্ষকে অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
একই কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এই ভবন কর্তৃপক্ষকে এর আগে অগ্নি নিরাপত্তাসংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল নিচ তলা থেকে। প্রাথমিকভাবে ধারণা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তদন্তে করে সবকিছু দেখা হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ওই ভবনটিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, একটিমাত্র সিঁড়ি থাকা অগ্নিনিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি বড় ত্রুটি। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় নিহতদের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি বেঁচে যাওয়াদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ড : আটক ৩
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা ভবনের নিচতলার চায়ের চুমুক রেস্টুরেন্টের দুজন মালিক ও কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আটকরা হলেন-চায়ের চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সার্বিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ মহিদ উদ্দিন।
পুলিশের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিচতলায় দুটি খাবারের রেস্টুরেন্ট ছিল। পেছনের দিকে বড় এবং সামনের দিকে ছিল হালকা খাবার চা-কফির ছোট রেস্টুরেন্ট। ছোট রেস্টুরেন্ট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই ভিডিও ফুটেজও সবার কাছে রয়েছে। আগুনের ঘটনায় অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা করতে পারবেন। এ ঘটনায় এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনের মালিকের দায়িত্বের কোনো অবহেলা রয়েছে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ভবন মালিক থেকে শুরু করে আগুনের ঘটনায় যাদের দায় পাওয়া যাবে সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন উল্লেখ করে মহিদ উদ্দিন বলেন, আগুনে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও আটজন শিশু মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের মরদেহ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। বাকি ছয় জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, আগুনের ঘটনায় ডিএমপি ও সিআইডি ঘটনার আলামত সংগ্রহ করেছে। গতকালের ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং সবধরনের সহযোগিতা করা হয়।
এ ভবনে এতগুলো গ্যাস সিলিন্ডার কোথা থেকে এলো এবং অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে হলো এসব অনেক ধরনের প্রশ্ন সামনে আসে। সেসব প্রশ্নের জবাব ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের কাছ থেকে আপনারা (সাংবাদিকরা) জেনেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত ও মামলা রুজুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
যাদের এ ধরনের ব্যবসা কিংবা রেস্টুরেন্ট রয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. মহিদ উদ্দিন বলেন, শুধু ব্যবসার কথা চিন্তা করবেন না। জীবনের নিরাপত্তার কথা আগে চিন্তা করবেন। বাইরের দেশগুলোতে দেখেছেন জরুরি বের হওয়ার জন্য আলাদা সিঁড়ি রয়েছে।
এবার ওয়ারীতে রেস্টুরেন্টে আগুন
রাজধানীর ওয়ারির পেশওয়ারাইন রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাত ১০টার পর ওই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের ওয়্যারহাউজ ইনস্পেক্টর আনোয়ারুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগুন লাগার পর সূত্রাপুর ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। রাস্তায় জ্যামের কারণে সিদ্দিকবাজার থেকে আরও ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ১০টা ১৪ মিনিটে ওয়ারির পেশওয়ারাইন রেস্টুরেন্টের কিচেনে আগুন লেগেছিল। খবর পেয়ে ১০টা ৩২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস সেখানে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিসের মোট ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় ১৬ মিনিটের মাথায় এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করে রেস্টুরেন্টের আগুন নেভানো হয়েছে।
নিজের নকশা করা ভবনেই যেতে নিষেধ করলেন স্থপতি
গাউসিয়া টুইন পিক। রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার সাতমসজিদ রোডে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনা। ফেয়ার ফেস কংক্রিট ও গ্লাসে আবৃত বহুতল ভবনটির ডিজাইনার প্রখ্যাত স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশের প্রতিষ্ঠান ভিসতারা আর্কিটেক্টস। বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর নিজের নকশা করা এই ভবন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থপতি নিজেই।
নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কেউ যেন সেখানে না যান ফেসবুকে এক পোস্টে সেই বার্তা দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের কোজি গ্রিন কটেজ বহুতল ভবনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় যখন মানুষের মাঝে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে সেই সময় দেশের অগ্নিনিরাপত্তার ঝুঁকি ও এ নিয়ে উদাসীনতার চিত্র তুলে ধরলেন স্থপতি মুস্তাফা খালিদ।
শুক্রবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে সকলের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘PLEASE DON’T USE THIS BUILDING FOR YOUR OWN SAFETY’
স্থপতি মুস্তাফা খালিদ লিখেছেন, প্রতিনিয়ত এই ভবনটি নিয়ে সত্যি উৎকণ্ঠায় থাকি। নকশা ও অনুমোদন বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে হলেও এর ব্যবহারে বড় রকমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সার্বিকভাবে একে সমূহ অগ্নিঝুকিপূর্ণ রেস্তোরাঁ ভবনে রূপান্তর করা হয়েছে। স্থপতি হিসেবে শেষ যে ক্ষমতাটুকু রাজউক দিয়েছে অকুপেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য- সেই রিপোর্ট স্বাক্ষর করার তোয়াক্কাও এখানে করা হয়নি। অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই চলছে দেদার ব্যবসা। যেহেতু ভবনটি নির্দিষ্ট ব্যবহারের ব্যত্যয় করে ব্যবহার শুরু হয়েছে তাই স্থপতি হিসেবে রিপোর্ট ও এজবিল্ট ড্রইং প্রদান থেকে বিরত থেকে জমির মালিক ও ডেভেলপারকে বারবার লিখিত বার্তায় এ বিষয়ে সতর্ক করা হলেও কোনো ফলপ্রসূ অগ্রগতি হয়নি। অর্থের কাছে আমার আহাজারি বারবারই নিস্ফল হচ্ছে। ডেভেলপারকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসে তাদের নাকি ফায়ার লাইসেন্স আছে। কি করে সম্ভব সেটা? কপি চাইলে নিরুত্তর। জমির মালিককে বললে উত্তর- ভাড়া হয় না তাই আর কি করা! তাদের এও জানানো হয় যে, সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবনের স্থপতি হিসেবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করা হবে।
তিনি আরও লিখেছেন, উদ্ভট সব যুক্তির বেড়াজালে একজন স্থপতি হিসেবে নিজেকে অসহায় না ভেবে গত মাসে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন মাস্টারকে এক বার্তায় এ বিষয়ে অবগত করলে তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে জানান। আমার ঘনিষ্ট ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন ডিজিকেও তার ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য অনুরোধ করলে তিনি সাধ্যমতো তা করবেন বলে জানান। আজ আবার স্টেশন মাস্টারকে বিস্তারিত তথ্য লিখলাম। দেখা যাক কি হয়। যতদূর জানি- এ ভবনের অগ্নিনিরাপত্তার অবস্থা ক্রমান্বয়ে ভয়াবহভাবে অবনমিত করা হয়েছে। ফায়ার ডোর খুলে ফেলা হয়েছে, ফায়ার স্টেয়ার স্টোররুম হয়েছে, যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। একজন সচেতন স্থপতি তো বটেই একজন শহরবাসী হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই দ্বায়ীত্ব দৃশ্যমান অশনিসংকেতের মোকাবেলা করা।
প্রসঙ্গত, স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ ডেলভিস্তা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও ভিসতারা আর্কিটেক্টসের প্রধান। তিনি স্থাপত্যবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘ডট’-এর সম্পাদক এবং এর পাশাপাশ চিত্রশিল্পী হিসেবেও সমাদৃত। ঢাকার বসুন্ধরা সিটি, জিপি হাউজ, র্যাংগস ব্যাবিলনিয়া, ওয়েস্টিন হোটেল, চট্টগ্রামের রেডিসন বে ব্লু হোটেলসহসহ দেশের বহু উল্লেখযোগ্য নান্দনিক স্থাপনার স্থপতি তিনি। একসময় তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। পরে নিজের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থাপত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। পলাশের সহোদর শিমুল মুস্তাফা দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী।
পিকনিকের যাত্রী নিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারালো দোতলা বাস, আহত ২২
রাজধানীর পূর্বাচলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) একটি দোতলা বাস। পথিমধ্যে একটি ব্রিজের আন্ডারপাসে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে গেছে বাসটি। এতে বাসটিতে থাকা ২২ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে পূর্বাচলের তিনশ ফিটের সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। আদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের (ঢাকা জোন-৩) উপ সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি পিকনিকের ছিল। পূর্বাচল সী-সেল পার্কে যাচ্ছিল বিআরটিসির দোতলা বাসটি। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনশ ফিটে তিন নম্বর ব্রিজের আন্ডারপাসে ধাক্কা খায় এবং দুমড়ে মুচড়ে যায় বাসটি। খবর পেয়ে পূর্বাচল ফায়ার স্টেশনের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আহতাবস্থায় ২২ জনকে উদ্ধার করে। তাদেরকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাসের যাত্রীরা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিভিশন কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে। এর আগেও তিনশ ফিটের আন্ডারপাসে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এবার গাউসুল আজম মার্কেটে আগুন
বেইলি রোড ট্রাজেডির দুদিন না যেতেই এবার আগুন লেগেছে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায়। শনিবার (২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিউমার্কেটের পাশেই অবস্থিত গাউসুল আজম মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে এই মূহুর্তে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন।
তিনি জানিয়েছেন, নিউমার্কেট গাউসুল আজম মার্কেটের একটি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দুইটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
আগুনের তীব্রতা অবশ্য তেমন ভয়াবহ নয়। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনও খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।