কমলাপুরে কনটেইনার ডিপোতে আগুন
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে একটি কনটেইনারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের চারটি ইউনিট কাজ করছে।
শনিবার (৭ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনের ভেতরে একটি কনটেইনারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথম ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে আরও তিনটি ইউনিট যোগ হয়।
শাহজাহান শিকদার জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জাননো হবে।
মন্তব্য করুন
‘যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে ভবনটি’
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ইনসিডেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেছেন, কোনো ধরনের নীতিমালা না মেনে নির্মাণ করা হয়েছে ডেমরার ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় আগুন লাগা ভবনটি। ভবনটিতে নেই ফায়ার এক্সিট, সংকীর্ণ সিঁড়ি। ভবনটির নিচে নেই নিজস্ব কোনো ওয়াটার রিজার্ভ।
রাজধানীর ডেমরাতে একটি কাপড়ের গোডাউনের লাগা আগুনের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মো. রেজাউল করিম বলেন, এখানকার ভবনগুলো একটার সঙ্গে একটা লাগোয়া। পূর্ব পাশের ভবনটির সঙ্গে এক ইঞ্চিও ফাঁকা নাই। যে কারণে আমরা ভবনটির পূর্ব পাশ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানি দেওয়াসহ কোনো কাজই করতে পারিনি। তার ওপর ভবনটির সিঁড়ি খুবই সংকীর্ণ। সেই সিঁড়িতেও মালামাল স্তূপ করে রাখা। ভবনের পর্যাপ্ত এক্সিট রুট নাই, বিকল্প কোনো সিঁড়ি নেই, বিকল্প এক্সিট রুটও রাখা হয়নি।
ভবনটির নিচে ওয়াটার রিজার্ভার তো নাই, আশপাশে ভবনগুলোতেও নাই পানির রিজার্ভার। এইসব কারণে আমাদের আগুন নেভাতে অনেক সময় লেগেছে।
তিনি বলেন, গোডাউন তৈরির কোনো নীতিমালা মানা হয়নি। ফায়ার ফাইটারদেরকে একটা একটা করে জিনিস সরিয়ে ভেতরে ঢুকে কাজ করতে হচ্ছে।
দীর্ঘক্ষণ আগুন জ্বলায় ভবনটির অবস্থা নাজুক হয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ভবনটি। একটি ছাদ ফেটে গেছে। যে কারণে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভবনটি কাঠামোগত শক্তি একেবারেই হারিয়েছে বলে দাবি করেন এ ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ইনসিডেন্ট কমান্ডার।
এদিকে, প্রায় ৯ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে, আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ চলছে এখনও।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টায় ডেমরার প্রেস এলাকায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার গোডাউনটিতে খেলাধুলার পোশাকসামগ্রী রাখা ছিল বলে জানা গেছে।
আগুনের খবর পেয়ে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ১০টি ইউনিট। কিন্তু তাদের ৫ ঘণ্টার চেষ্টাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে যোগ দেয় নৌবাহিনীও।
খলিলের মাংসের ব্যবসায় ভাটা
কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসে ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। রোজার প্রথম দিন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেন তিনি। এতে তার দোকান ‘খলিল গোস্ত বিতানে’ ক্রেতাদের ঢল নামে। তবে ১০ রোজা না যেতেই প্রতি কেজি মাংসের দাম ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন এই মাংস ব্যবসায়ী।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) তার দোকানে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে ব্যানার টানানো দেখা গেছে। দাম বৃদ্ধির একদিনের মাথায় খলিলের মাংসের ব্যবসায় ভাটা পড়েছে।
রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরে ওই দোকানে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতো ক্রেতাদের তেমন একটা দেখা মিলছে না। অনেকে আবার মাংস কিনতে এসে দাম দেখে ফেরত যাচ্ছেন।
ক্রেতাদের অভিযোগ, এটা একটা সিন্ডিকেট। প্রথমে কম দামে বিক্রি করে লোভ দেখানো হয়, এরপরই তাদের আসল রূপ দেখা যায়।
তবে দাম বাড়ানোর পেছনে খলিলের দাবি, তিনি চাপে আছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস বিক্রি করে পোষাতে পারছিলাম না। লোকসানে পড়তে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে।
এদিকে ‘চাপে আছেন’ বলতে তিনি কী বোঝাচ্ছেন কিংবা কী ধরনের চাপ আছে, তা জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, আমি এখন আর খুব বেশি কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাবে।
গত বছরের শেষ দিকে বাজারে যখন ৭০০-৭৫০ টাকায় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল, তখন তিনি কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ তার দোকানে মাংস কিনতে ভিড় করে। গত শুক্রবার তিনি এক কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন বলে জানিয়েছিলেন।
ধানমন্ডিতে ভবনে আগুন
রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি ভবনে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এই আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বলেন, ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের সপ্তক স্কয়ারে আগুন লেগেছে। খবরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।
তবে প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত এবং হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
অফিস ছুটির পরই গন্তব্যে রওনা দেওয়ার আহ্বান
রমজানে অফিস ছুটির সাথে সাথেই বা এর কাছাকাছি সময় বাসার উদ্দেশে রওনার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মো. মুনিবুর রহমান বলেন, রমজানে বিকেল সাড়ে ৩টায় অফিস ছুটি হয়। কিন্তু দেখা যায়, ইফতারের আগপর্যন্ত অধিকাংশ যানবাহন তড়িঘড়ি করে গন্তব্যস্থলে রওনা হয়। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইন্টারসেকশনে অযাচিত যানজট তৈরি হয়। তাই অফিস ছুটির সময়, অর্থাৎ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বা এর কাছাকাছি সময় বাসার উদ্দেশে রওনার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটের সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করা হয়, যা সড়কের প্রশস্ততা কমিয়ে দেয়। যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করে। রমজানের শুরু থেকে ট্রাফিক বিভাগ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সড়কের পাশে অযাচিত পার্কিং না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় ঢাকা শহরের ছোট-বড় সড়কে মেরামতের কাজ চলে। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রমজান মাসে এসব সড়ক চলাচল উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, পাশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে যানবাহন অযাচিতভাবে ডিএমপি এলাকায় প্রবেশ করে যানজট তৈরি করে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের এ বিষয়ে কড়াভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিএমপি এলাকায় ভারী যানবাহন প্রবেশের নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। অনেক সময় এই সময়সীমা না মেনে চালকেরা চলার চেষ্টা করেন, যা যানজটের সৃষ্টি করে। নির্ধারিত সময়সীমার বিষয়টি মেনে চলতে হবে।
চকবাজারে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকায় একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে চকবাজারের ইসলামবাগে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। আগুনের মাত্রা বেশি হওয়ায় এরপর একে একে ৮টি ইউনিট পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।
চকবাজারে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকায় একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ইসলামবাগ এলাকাটি কেমিক্যাল, পলিথিন ও প্লাটিক তৈরির কারখানায় পূর্ণ। ঘিঞ্জি এলাকাটিতে ছড়িয়ে আছে নানা দাহ্য পদার্থ। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ব্যপক ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এ আগুন দ্রুততম সময়ে নিয়ন্ত্রণে না এলে চারপাশের ভবন এবং টিনশেড বাড়িঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর ভবনটিতে জুতার কারখানা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হবে বলে জানান তারা।
এদিকে এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় ফায়ারের কর্মীরা কাছে গিয়ে পানি দিতে পারছেন না। সেই সঙ্গে রাস্তা সরু হওয়ায় গাড়িও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারছে না। বর্তমানে মইয়ের মাধ্যমে খুব কাছে পৌঁছে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে ফায়ারের কর্মীরা।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানিয়েছেন, রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে চকবাজারের ইসলামবাগে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। আগুনের মাত্রা বেশি হওয়ায় এরপর একে একে ৮টি ইউনিট পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।
ফ্ল্যাটে মিলল মায়ের রক্তাক্ত মরদেহ, পুলিশ হেফাজতে ছেলে
রাজধানীর পশ্চিম মানিকদি নামাপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাটে রোকেয়া বেগম (৫৫) নামে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে মা রোকেয়া বেগম খুন হয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
রোববার (২৪ মার্চ) ভোর রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জমসেদুল আলম।
তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাতে ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে নামাপাড়ার ওই বাড়ির পঞ্চমতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে রোকেয়া বেগমের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী দুই সন্তানের মা। তার বড় সন্তান মানসিক ভারসাম্যহীন, বয়স আনুমানিক ৩০। ধারণা করা হচ্ছে মানসিক ভারসাম্যহীন বড় ছেলে বাসায় থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
তিনি আরও জানান, নিহতের সেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে পুলিশ হেফাজতে আছে। ঘটনার সময় তার ছোট ছেলে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিল।
বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং আইনিপ্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই।
নিহতের স্বামীর নাম এস এম মোহাম্মদ আলী। তিনি নরসিংদী ঘোড়াশাল পাওয়ার হাউজের চাকরি করেন। পশ্চিম মানিকদি নামাপাড়া বাড়ির নম্বর ২৪৮/৩ পঞ্চমতলার একটি ফ্ল্যাট সপরিবারে থাকতেন রোকেয়া।