• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

‘গোষ্ঠীর স্বার্থে যাত্রী অধিকার জিম্মি হয়ে পড়েছে’

অনলাইন ডেস্ক
  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৪৮

দেশে এক গোষ্ঠীর স্বার্থের কাছে যাত্রী অধিকার জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে মস্তব্য করেছেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

তিনি বলেন, বাসে ন্যায্য ভাড়া নিশ্চিত করা দরকার। চালক-হেলপার ও কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার মুক্ত বাস কাউন্টার ও বাসে যাত্রীসেবা সুনিশ্চিত করা দরকার। গণপরিবহনে নারী যাত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি আরো অবসান হওয়া জরুরি। বাসে উঠা নামায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি যৌক্তিক স্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণে যাত্রী ছাউনি ও সড়কে আলোক-সজ্জার ব্যবস্থা করা যাত্রী অধিকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে মনে করেন তিনি।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘যাত্রী হয়রানী ও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য যে, গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানী, ভাড়া নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, সড়কে দুর্ঘটনা, অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের প্রতীকি দিবস হিসেবে দেশে ৩য় বারের মতো যাত্রী অধিকার দিবস পালন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলায় প্রতিদিন ঝরছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। যানজটে নষ্ট হচ্ছে হাজার কোটি টাকার শ্রম ঘন্টা। পদ্মা সেতু ও মেট্টোরেল দৃশ্যমান হলেও রাজধানীর বিবর্ণ-রংচটা বাসগুলো সরকারের সব অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এই সেক্টরের একটি কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা জিইয়ে রেখে পরিবহনে চাঁদাবাজি চালাচ্ছে। এই গোষ্ঠীর হাতে পরিবহন সেক্টর জিম্মি। তিনি বলেন সারাদেশে পরিবহনে প্রতিমাসে ৩০০ কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি হয়। এসব চাঁদা অতিরিক্ত ভাড়ার অঙ্কে যাত্রীসাধারনের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে নৈরাজ্য ও হয়রানী বাড়ছে, যাত্রী অধিকার ভুলুন্টিত হচ্ছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, মানুষের জীবনের অধিকার সবচেয়ে বড় অধিকার, আমাদের পরিবহন সেক্টরে মানুষের কোন অধিকার নেই। তিনি বলেন, কয়েকজন মালিক-শ্রমিক নেতা শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। কিন্তু জনগণের যাতায়াতে শান্তি ও স্বত্বির কোন ব্যবস্থা হয়নি। আইনের শাসন এই সেক্টরে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। সড়কে মানুষ বেঘোরে প্রাণ দিচ্ছে। কোন বিচার হয় না। তাই যাত্রীদের অধিকার আদায়ে আরো বেশি সোচ্চার হতে হবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, রাজধানীর বাসগুলোতে বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে ওয়েবিলে যাত্রীর মাথা গুনে গুনে ভাড়া আদায় মনে করিয়ে দেয় এখানে কোন পরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর নেই। সুতরাং মালিকেরা নিজেরাই আইন তৈরি করছেন। তাদের নিজস্ব নিয়মে পরিবহন চলছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ এডিটর ফোরামের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী, যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল, যাত্রী কল্যাণ সমিতির যুগ্ন মহাসচিব এম. মনিরুল হক, আনোয়ার হোসেন, পরিবহন মালিক শামীম রহমান, পরিবহন মালিক গাজী মুসলেম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাস থেকে পড়ে যান হেলপার, মাথার ওপর দিয়ে চলে গেল চাকা
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু 
মেহেদির রং শুকানোর আগেই প্রাণ গেল প্রবাসী যুবকের
ত্রিশালে বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
X
Fresh