পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত (ভিডিও)
একদিকে করোনার মহামারি অন্যদিকে বন্যা। দুয়ে মিলে ভীষণ কষ্টে দিন পার করছেন দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে বাড়ছে দেশের প্রায় প্রতিটি নদীর পানি। একের পর এক প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদী গোয়ালন্দ এবং ৪৮ ঘণ্টায় যমুনা নদীর আরিচা ও পদ্মা নদীর ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যাপূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এবছর প্রবল বন্যা না হলেও মাঝারি বন্যার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। প্রকৃতিক দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের। করোনা মহামারির মধ্যে আম্পানের আঘাতের পর এখন আবার বন্যার থাবা। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি রয়েছে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিলেট, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের লাখো মানুষ।
বন্যাপূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য মতে, পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলায়। ধরলার পানি রয়েছে বিপদসীমার ওপরে। পানিবন্দি রয়েছে তিস্তাপাড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
অগামীকাল বুধবারের মধ্যে যমুনা নদী আরিচা ও পদ্মা নদী ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এসময় লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিলেট, নেত্রকোনা এবং সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে উত্তরাঞ্চলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী। তবে এবারের বন্যায় ফসলের খুব বেশি ক্ষতি হবে না বলে মনে করে বন্যাপূর্বাভাস কেন্দ্র।
পি
মন্তব্য করুন