গাইবান্ধায় আকস্মিক বন্যায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদী বেষ্টিত ১৬টি ইউনিয়নের ২৫৫টি চরের অধিকাংশ বাড়িঘর হাঁটু থেকে কোমর পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। ফলে এসব এলাকার বসতবাড়ির ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যানুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এই পানি বৃদ্ধি আগামী চার থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে। ফলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর-বালাসীঘাটের কাছে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি গত বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মেরামতের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই বাঁধ ভাঙা এলাকা দিয়ে পানি ঢুকে সাঁতারকান্দির চর ও ভাষারপাড়া এলাকা আকস্মিক বন্যায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।
ফলে ওই দুটি গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ২ হাজার ৫০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে বেড়ি বাঁধে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। রসুলপুর দোতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির একতলা ডুবে যায়। বিদ্যালয়ের দোতলা ও ছাদে আশ্রয় নিয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার।
এছাড়া গাইবান্ধা বালাসীঘাট সড়কের নতুন বেড়ী বাঁধের পূর্ব অংশ থেকে বালাসীঘাট পর্যন্ত সড়কটি হাট থেকে কোমর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
বন্যার কারণে সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের পাট, পটল, কাঁচামরিচ ও শাক-সবজির ক্ষেতসহ সদ্য রোপণকৃত বীজতলা তলিয়ে গেছে।
এজে
মন্তব্য করুন