রাফিয়া চৌধুরী, আরটিভি অনলাইন
১৬ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৩৪
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৫৭
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৫৭
মহাসড়কে ফিটনেস গাড়ি ও লাইসেন্সের বড় সংকট

আরও পড়ুন : ঈদযাত্রার আগেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০ কিলোমিটারের যানজট
------------------------------------------------------------------ তিনি বলেন, ২৪ হাজার নিবন্ধিত বাসের মধ্যে যাত্রী পারাপারের কাজে নিয়োজিত থাকে ২০ হাজার বাস। এর মধ্যে দৈনিক ১০ হাজার বাস ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় আর বাকি ১০ হাজার বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় প্রবেশ করে। বিভিন্ন রুটে একেকটি বাস দৈনিক গড়ে দুটি করে ট্রিপ দিতে পারে। একটি বাসে গড়ে ৪০টি করে আসন ধরা হলে মোট আসন সংখ্যা দাঁড়ায় আট লাখ। অর্থাৎ দৈনিক আট লাখ যাত্রী এবার ঢাকা ছাড়বেন। এই হিসাবে ঈদযাত্রার ছয় দিনে ৪৮ লাখ যাত্রী বাসযোগে ঢাকা ছাড়বেন। তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন ও রাতে পরিবহন মালিকরা আরও অতিরিক্ত কিছু গাড়ি সড়কে নামাবেন। এসব গাড়িতে অতিরিক্ত আরও সাত লাখ যাত্রী বাড়ি ফিরতেন। যেসব অতিরিক্ত গাড়ি প্রতিদিন হাইরুটে চলতো সেগুলো আইনের জোরালো পদক্ষেপে এখন চলতে পারছে না। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে এবার ঈদযাত্রায় কী ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষকে। সায়েদাবাদ বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, দূরপাল্লার গাড়ির ক্ষেত্রে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা কম। কিন্তু দূরপাল্লার যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স। প্রতিদিন সায়েদাবাদ থেকে বিভিন্ন জেলায় ১২ হাজার বাস ছেড়ে যায়। এর মধ্যে ৩শ’ থেকে ৪শ’ বাসের কোনও ফিটনেস নাই। এসব বাসের জন্য মোট চালকের সংখ্যা ৭ হাজার, যাদের মধ্যে ২ হাজার চালকের ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স আছে। তিনি বলেন, বাস চালকরা সবাই ২০ থেকে ২৫ বছর গাড়ি চালানোর পরও বিআরটিএ থেকে তাদের ভারী যানবাহন চালানোর কোনও লাইসেন্স দিচ্ছে না। দূরপাল্লার বাসের বেশির ভাগ চালকরা লাইট বা মিডিয়াম গাড়ির লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল। কিন্তু এখন ভারী যানের লাইসেন্স না থাকায় সার্জেন্ট তাদের মামলা দিচ্ছে। এই জটিলতায় গাড়ির চালকরা এখন আর দূরপাল্লায় গাড়ি চালাতে চাচ্ছে না। মহাখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, দূরপাল্লার গাড়ির ফিটনেস নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা নেই তবে বর্তমানে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। তাই তারা ট্রিপ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আরও পড়ুন : আরসি/এসএস