• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দূরপাল্লার বাসে ঢাকায় পৌঁছে ভোগান্তিতে গার্মেন্ট শ্রমিকরা

আরটিভি নিউজ

  ০১ আগস্ট ২০২১, ১৭:২২
ফাইল ছবি

করোনার সংক্রমণ কমাতে সরকারের ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যেই দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চ চলাচলে শিথিল করায় গ্রাম থেকে রাজধানীতে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা। ঢাকার ভেতরে বাস-মিনিবাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। উপায় না পেয়ে রিকশা ও ভ্যানে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। এতে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।

রোববার (০১ আগস্ট) রাজধানীর গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, আব্দুল্লাপুর ও মহাখালী সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাসগুলো ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রী নিয়ে এসে বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিচ্ছে। বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীরা নেমে নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য সিএনজি, রিকশা ও ভ্যানগাড়ি ভাড়া করছেন। অনেক যাত্রী আবার কাঁধে ও হাতে ব্যাগ নিয়ে হেঁটেই গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন। তবে রাজধানীতে বলাকাসহ কিছু সিটিং সার্ভিস বাস চলাচল করলেও গেটলক করে চলছে।

চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার বাসে যাত্রাবাড়ী এসেছেন লিয়াকত আলী। চট্টগ্রাম থেকে ছয় ঘণ্টা যাত্রা শেষে যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে বিপাকে পড়েছেন। তিনি বলেন, টঙ্গী একটি কারখানায় কাজ করেন। দূরপাল্লার বাস চলাচল শিথিল করা এবং আগামী ১ আগস্ট কারখানা খোলায় তাকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসতে হয়েছে। দূরপাল্লার বাসে যাত্রাবাড়ী নেমে বাস সংকটে টঙ্গীতে যেতে পারছেন না। সেজন্য হেঁটে হেঁটে আব্দুল্লাপুর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গার্মেন্টস খোলায় খুলনা থেকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে এসে বিপাকে পরেছেন শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গাবতলী থেকে তাকে গাজীপুর যেতে হবে। কিন্তু দূরপাল্লার বাস গাবতলী পর্যন্ত। এখন গাজীপুরে যাওয়া বেশ কষ্ট কর হয়েছে। অনেকে অটো-রিকশা, ভ্যান ও সিএনজিতে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন। শুধু লিয়াকত আলী ও শফিকুল ইসলাম নয়। অধিকাংশ দূরপাল্লার যাত্রীরা ঢাকায় এসে বেকায়দায় পরেছেন।

সিরাজগঞ্জ থেকে পলাশ নামের এক কর্মজীবী আহাত নামে একটি বাসে গাবতলীতে এসেছেন। তিনি বলেন, ভোরে বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে সাড় ৮টায় পৌঁছালাম। ভালোভাবে আসতে পেরেছি এতেই শুকরিয়া। তবে এসব সিদ্ধান্ত সরকার আগে থেকে নিতে পারলে ভালো হতো। সরকারের হুটহাট সিদ্ধান্তে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হয়। এখন ঢাকার ভেতরে বাস চলাচল না করায় কিছুটা ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের বিস্তার কমাতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে সরকার ৫ আগস্ট পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছে। সে মোতাবেক ওই সময় পর্যন্ত সব কারখানা বন্ধ থাকার কথা ছিল। তবে ঈদের পর থেকেই কারখানা খোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিল্প-কারখানার মালিকরা। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আর রোববার (০১ আগস্ট) দূরপাল্লার গণপরিবহন ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।


এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • জনদুর্ভোগ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দুই ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত
শুক্রবার ঢাকায় আসছেন আতিফ আসলাম
X
Fresh