রাস্তায় নেমে কর্মস্থলে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিস বন্ধ ঘোষণা করে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন দিয়েছে সরকার। কিন্তু এই লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক ও বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় চাকরিজীবীদের অফিসে যেতে হচ্ছে। কিন্তু অফিসে যাওয়ার পথে গণপরিবহন না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। চলাচলের মতো যানবাহন পাচ্ছেন না তারা। তাই অফিসগামী মানুষদের গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।
লকডাউনের মধ্যেও ব্যাংকসহ জরুরি যেসব অফিস খোলা রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা রাস্তায় নেমে কর্মস্থলে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। গণপরিবহন না থাকায় কেউ এক মোড় থেকে আরেক মোড় পর্যন্ত রিকশায় আবার কেউ ভাড়া করে প্রাইভেটকারে যাচ্ছেন। অনেকেই মোটরসাইকেলে যাত্রা করে পথিমধ্যে পুলিশের বাধার মুখেও পড়েছেন। মোটরসাইকেলে একজনের বেশি চলাচল করতে দিচ্ছে না পুলিশ।
মতিঝিল শাপলা চত্বরে পুলিশের চেকপোস্টের কারণে রিকশায় দুজন করে চলাচল করতে পারছেন না। রিকশায় দুজন দেখলেই পুলিশ একজনকে নামিয়ে হেঁটে যাওয়ার অথবা অন্য রিকশায় যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। মোটরসাইকেলে দুজন চলাচল করলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ এবং মুভমেন্ট পাস আছে কিনা চেক করা হচ্ছে।
আসাদগেট মোড়ে পুলিশের কোনো চেকপোস্ট না থাকলেও কিছুটা দূর ফার্মগেট মোড়ে পুলিশের কড়া চেকপোস্ট। চেকপোস্টের আগে থেকেই পুলিশ হাত উঁচিয়ে থামার নির্দেশ দিচ্ছে। থামার পরে প্রথমেই জিজ্ঞেস করা হচ্ছে মুভমেন্ট পাস আছে কিনা। মোহাম্মদপুর, গাবতলী, শ্যামলী, মিরপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর পল্টন মোড়ে চেকপোস্টে আসা প্রতিটি গাড়ি চেক করছেন পুলিশ সদস্যরা। মোটরসাইকেলে দুজন ও মুভমেন্ট পাস না থাকায় মামলাও দেয়া হচ্ছে।
পল্টন মোড় চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাফি বলেন, আজ রোববার ব্যাংকসহ জরুরি যেসব অফিস খোলা রয়েছে সেগুলোতে মানুষ যাচ্ছেন। তবে প্রত্যেককে চেক করা হচ্ছে।
এফএ/পি
মন্তব্য করুন