• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গত তিন বছরে ঢাকার বায়ু বেশি খারাপ হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:২৫
বায়ু বেশি খারাপ পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন (ফাইল ছবি)

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শুষ্ক মৌসুমে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বাষুদূষণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে যায়। ২০০২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বায়ুমানের ডাটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৬ থেকে ২০১৯ এই তিন বছর বায়ুমান বেশি খারাপ হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটি ঘটেছে।

জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও শিল্পঘন শহরগুলোতে সার্বক্ষণিত বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশে বায়ুর গুণগত মান পরিমাপ করা হচ্ছে। অন্যান্য দূষক যেমন: সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড ইত্যাদি সারাবছর মানমাত্রার মধ্যে থাকে। বায়ু দূষণের উৎস হিসেবে ইটভাটা, যানবাহন, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম, পৌরবর্জ্য ও ট্রান্সবাউন্ডারি প্রভাবকে দায়ী করা হয়।

তিনি আরও জানান, আইনের আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তর দেশে বিদ্যমান ইটভাটাকে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। অবৈধ পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটার বিরুদ্ধে ২০১৫ সাল থেকে অভিযান পরিচালনা করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রায় ৬০০ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হবে।

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, মাটি ব্যবহার করে পোড়ানো ইট উৎপাদন ও ব্যবহার শূন্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের মধ্যে শতভাগ ব্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পরবর্তীতে সকল বেসরকারি কাজে ইটের বিকল্প ব্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে মাটি ব্যবহার করে পোড়ানো ইট উৎপাদনও ব্যবহার শূন্যে নেমে আসবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শাহে আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানান, পরিবেশের জন্য চরম ক্ষতিকর নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন বন্ধে সরকার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে পলিথিন জব্দ, জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হচ্ছে।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • পরিবেশ ও জীববৈচিত্র এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
উষ্ণতম মার্চ দেখলো বিশ্ব
বাংলাদেশি ভাইবোনদের অবদান কখনও ভুলবো না : ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
২০ বছরের পুরনো বাস সরানো হবে, তালিকা চাইলেন মন্ত্রী
‘লবণাক্ত হয়ে যেতে পারে ঢাকার চারপাশের জমি’
X
Fresh