বাড়ছে কনকনে শীত
শৈত্যপ্রবাহ ছাড়াই শনিবার রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ছিল কনকনে শীত। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ এলাকা গতকাল মেঘ ও কুয়াশায় ঢাকা ছিল। বাকি এলাকায় কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা পাওয়া গেলেও দিনের তাপমাত্রা খুব একটা বাড়েনি। ফলে কনকনে শীতের অনুভূতি কমেনি।
ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুরে বিমান ওঠানামায় সমস্যা হয়েছে। শীতের কারণে কষ্ট বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শীতজনিত রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকালের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, গতকাল রাজধানীর দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম ছিল। বাকি জেলাগুলোতে তাপমাত্রার এই পার্থক্য ছিল আড়াই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এসব এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়েছে।
গতকাল সরকারি ছুটির দিন থাকায় সড়কে মানুষের যাতায়াত ছিল কম। যাঁরা রাস্তায় বের হয়েছিলেন, তাঁদের ভারী শীতের পোশাক পরে বের হতে দেখা গেছে। ছিন্নমূল রাজধানীবাসীর অনেককে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ স্থানের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। বাকি এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। তবে গতকাল দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক ছিল।
এসজে
মন্তব্য করুন