সুন্দরবনের কারণেই শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’
দোর্দণ্ড প্রতাপে বাংলাদেশ ও ভারতে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শেষ পর্যন্ত সুন্দরবনে বাধা পেয়ে তার শক্তি হারিয়েছে। প্রথমে ভারতীয় অংশের সুন্দরবনের সাগরদ্বীপে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এরপর এটি বাংলাদেশের সুন্দরবনের সাতক্ষীরা ও খুলনা অংশে প্রবেশ করে। সুন্দরবনের গাছপালায় বাধা পেয়ে দুর্বল হওয়া ‘বুলবুল’র কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটার কমে যায়। ফলে অনেক বড় ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আবহাওয়া অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়াবিদ ড. আব্দুল মান্নান এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, ঝড়টি সুন্দরবন না হয়ে যদি বরিশাল বিভাগের বরগুনা ও পটুয়াখালী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতো তাহলে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো। এটা ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেনি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের একপাশে পশ্চিমবঙ্গ ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের তিনদিক জুড়েই ছিল সুন্দরবন।
বুলবুলের গতি কমার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বুলবুল যে গতিতে আসার কথা ছিল, সেই গতিতে আসেনি। যখন ঘূর্ণিঝড় জলভাগের ওপর দিয়ে চলে, সেই জলভাগ ঘূর্ণিঝড়ের ওপর তেমন শক্তি প্রয়োগ করতে পারে না। কিন্তু স্থলভাগে গাছ, স্থাপনা দাঁড়ানো থাকে। এগুলোর সঙ্গে সবসময় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ঘূর্ণিঝড়, বাধা প্রাপ্ত হয়; এ কারণে ওর মধ্যে রিটার্নিং ফোর্সের (বিরোধী শক্তি) কারণে গতি আস্তে আস্তে কমে যায়। এ কারণে উপকূল অতিক্রম করতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের দীর্ঘক্ষণ সময় লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের উপকূলে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে এগিয়ে চলেছে। এটি ঢাকা ও কুমিল্লাঞ্চল হয়ে দুপুর থেকে বিকেল নাগাদ ভারতে চলে যাবে। ত্রিপুরা থেকে আসাম ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল দিয়ে অনেকটা দুর্বল হয়েই অতিক্রম করবে এই ঘূর্ণিঝড়। এর ফলে ঢাকাসহ ঝড়ের গতিপথ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
পি
মন্তব্য করুন