আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট
১০ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:৩৫
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৭
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৭
বুলবুল আঘাত হেনেছে সাতক্ষীরায়, অগ্রসর হচ্ছে উত্তরপূর্ব দিকে

বুলবুল আঘাত হেনেছে সাতক্ষীরায়, অগ্রসর হচ্ছে উত্তরপূর্ব দিকে
এর আগে রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তাণ্ডব চালিয়ে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে পুরোপুরি প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’।
তবে বুলবুলের প্রভাবে সাতক্ষীরায় প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া ও দমকা বাতাস বইতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে চলছে ভারি বর্ষণ।
উপকূলীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে বেশ কিছু এলাকার ফসলি জমি ও লোকালয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ‘বুলবুল’ বর্তমানে খুলনা ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে (২২.০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ক্রমশ দুর্বল হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
বুলেটিনে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এই মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এই সংকেত প্রযোজ্য উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ক্ষেত্রে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলাগুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজ এর প্রভাবে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।