ঘূর্ণিঝড়টির নাম ফণী কেন?
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ফণী শুক্রবার বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ফণী বাংলাদেশের দেয়া।
এর অর্থ সাপ বা ফণা তুলতে পারে এমন প্রাণী। ইংরেজিতে Fani লেখা হলেও এর উচ্চারণ ফণী। বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদনে এসব কথা জানায় বিবিসি বাংলা।
এতে বলা হয়, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। যেমন ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আটটি দেশ।
এই আট দেশ হলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান। এসব দেশের প্যানেলকে বলা হয় WMO/ESCAP।
একসময় ঝড়গুলোকে নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হতো। কিন্তু সেসব নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হতো। ফলে সেগুলোর পূর্বাভাস দেয়া এবং মানুষকে সতর্ক করাও কঠিন হতো।
এই কারণে ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলো ঝড়ের নামকরণ শুরু করে। এসময় আটটি দেশ মিলে মোট ৬৪টি নাম প্রস্তাব করে।
এই আট দেশ আটটি করে ঝড়ের নাম প্রস্তাব করেছে। প্রথম দফায় মোট ৬৪টি নাম নির্ধারিত হয়। এসব ঝড়ের নামের মধ্যে এখন ফণী বাদ দিলে আরও সাতটি নাম আছে।
ভারতের প্রস্তাব অনুযায়ী পরবর্তী ঝড়ের নাম হবে ভায়ু। এরপরের ঝড়গুলোর নাম হলো হিক্কা, কায়ার, মাহা, বুলবুল, পাউয়ান ও আম্ফান।
এই নামগুলো শেষ হয়ে যাওয়ার পর আবারও বৈঠকে বসে নতুন নামকরণ করা হবে। এর আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা নামগুলো ছিল হেলেন, চাপালা ও অক্ষি।
কে/এস
মন্তব্য করুন