গরমের তীব্রতা থেকে সহসায় মুক্তি নেই
গত কয়েকদিন ধরেই সারা দেশে তাপদাহ চলছে। চলতি মাসে এই তাপদাহ থেকে মুক্তি নেই। তাপদাহের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন ধান কাটার শ্রমিক ও দিনমজুরে মানুষ। কায়িক শ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার রিকশা চালক ওমর আলী বলেন, প্রচণ্ড গরমে রিকশা চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কিছুক্ষণ পরপরই পানি পান করতে হচ্ছে এবং বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। রিকশা চালক ওমর আলীর মতো কায়িক শ্রমের মানুষ তাপদাহের মধ্যে কষ্টে আছেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে তীব্র তাপদাহ এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রংপুর, সিলেট ও বরিশালে মধ্যম পর্যায়ের তাপদাহ অনুভূত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই এই অসহনীয় গরম কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। গত রোববার যশোরে সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক দুই ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চলতি মাসে বেশিরভাগ জেলার তাপদাহ ৪০ ছুঁইছুঁই। এই অবস্থায় এক ফোঁটা জলের জন্য চাতকের মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে সবাই। তবে কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। মে মাসের শেষের দিকে মৌসুমী বায়ু দেশে প্রবেশ করলেই যদি শীতল হয় প্রকৃতি।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, আগামী দুই/তিন বিচ্ছিন্নভাবে দু’এক জায়গায় বৃষ্টি হলেও সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু অঞ্চলসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ , রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা থাকবে অপরিবর্তিত।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের আট বিভাগের তাপমাত্রা ৪০ কিংবা এর কাছাকাছি থাকবে। এরমধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৪১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বরিশালে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিলেটে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চট্টগ্রামে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং খুলনায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এফএ
মন্তব্য করুন