• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনা সংক্রমণ রোধের প্রশিক্ষণ নেই ৮৬ শতাংশ নার্সের: টিআইবি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৫ জুন ২০২০, ১৩:৩২
Transparency International Bangladesh
করোনা সংক্রমণ রোধের প্রশিক্ষণ নেই ৮৬ শতাংশ নার্সের

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানিয়েছে, দেশের ৮৬ শতাংশ নার্সের করোনাভাইরাস সংক্রম রোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক ‘আইপিসি’প্রশিক্ষণ নেই। বিবিজিএনএস ও এসএনএসআর নামে নার্সদের দুটি সংগঠনের জরিপের ভিত্তিতে দুর্নীতি বিরোধী সংগঠনটি এই তথ্য জানিয়েছে।

টিআইবি সোমবার ‘করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবেলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ’ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায়।

এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ৭৪ দশমিক ৫০ শতাংশ দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণের ৫৯ দশমিক ৬০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

টিআইবি জানিয়েছে, প্রত্যক্ষভাবে দেশের সকল বিভাগের ৩৮টি জেলার ৪৭টি হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত তথ্য নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মেডিকেল কলেজ, ৩৩টি উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল, ৫টি অন্যান্য হাসপাতাল রয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে টিআইবি বলেছে, গবেষণার অন্তর্ভুক্ত হাসপাতালগুলোর ২২ দশমিক ২০ শতাংশের সকল স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। শুধু চিকিৎসক ও নার্স প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ২০ শতাংশ হাসপাতালের। আর চিকিৎসক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ২০ শতাংশ হাসপাতালের।

অপরদিকে কোভিডের জন্য নির্ধারিত কর্মীরা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ হাসপাতালের। এছাড়া অল্প সংখ্যক কর্মী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ, অল্পসংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ, একজন করে চিকিৎসক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং কেউ প্রশিক্ষণ পাননি ২ দশমিক ২০ শতাংশ হাসপাতালে।

চিকিৎসা ব্যবস্থার ঘাটতির তথ্য তুলে ধরে টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ৭৪ দশমিক ৫০ শতাংশ দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণের ঘাটতি রয়েছে ৫৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, নিম্নমানের নিরাপত্তা সামগ্রী ৫১ দশমিক ১০ শতাংশ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি ৫১ দশমিক ১০ শতাংশ, নিরাপত্তা সামগ্রীর ঘাটতি ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ, অন্যান্য ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং কোনো সমস্যা নেই ২ দশমিক ১০ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করা হলেও ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর জন্য জাতীয় প্রস্তুতি ও সাড়া দান পরিকল্পনা’প্রণয়নে প্রায় দেড় মাস বিলম্ব করা হয়েছে। এর কারণে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে টিআইবি।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৬
২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত
X
Fresh