• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

কী আছে রেড জোনের গাইডলাইনে

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৫ জুন ২০২০, ১০:১৮
What's in the Red Zone guidelines
কী আছে রেড জোনের গাইডলাইনে

বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার রাজধানীসহ সারাদেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় রাজধানীর ৪৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে রাজধানীর রাজাবাজার এলাকা লকডাউন করা হয় ৭ জুন।

আজ সোমবার থেকে রাজধানীর বাকি এলাকা ধারাবাহিকভাবে লকডাউন করা হবে। তাই রেড জোন এলাকার মানুষ যেমন বাইরে বের হতে পারবেন না তেমনি বাইরের লোকও রেড জোনে প্রবেশ করতে পারবেন না।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংক্রমণ রোধে রেড জোন এলাকায় বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি তিনটি জোনের জন্যই কিছু সাধারণ নিয়ম রয়েছে। অর্থাৎ এই বিষয়গুলো যেকোনো স্থানেই মেনে চলতে হবে। যেমন— বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যেকের মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে তিনটি জোনেই। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা, তার চিকিৎসা ও আইসোলেশনের ব্যবস্থা; কন্টাক্ট ট্রেসিং ও কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাও থাকবে সব জোনেই। একইভাবে সব জোনেই বন্ধ থাকবে সবধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চালু থাকবে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও প্রয়োজনীয় জরুরি পরিষেবা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মাঠে থাকবে।

রেড জোনের জন্য যেসব নির্দেশনা
এই জোনের আওতায় কর্মজীবীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন, বাইরে যেতে পারবেন না। কোনো ধরনের জনসমাগম করা যাবে না। কেবল প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবার কাজেই বাইরে চলাচল করা যাবে। রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত গ্রামীণ এলাকায় মুদির দোকান ও ফার্মেসি খোলা রাখা গেলেও কোনো ধরনের রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান ও টং দোকান খোলা রাখা যাবে না। গ্রামীণ এলাকায় খোলাবাজার চালানো গেলেও শহরে কোনোভাবেই বাজার খোলা রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করা হয়েছে নগর এলাকার জন্য। মুদির দোকান, বাজার ও ফার্মেসির ক্ষেত্রেও হোম ডেলিভারি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় মসজিদ ও ধর্মীয় স্থানে কেবল খাদেম বা কর্মচারীরাই থাকতে পারবেন। মসজিদে নামাজ পড়তে কিংবা উপাসনালয়ে প্রার্থনা করতেও যাওয়া যাবে না। বাড়িতে বসে এসব করতে হবে। এছাড়া টপআপ ও এমএফএস সেবা খোলা রাখা গেলেও ব্যাংকিং খাতে কেবল এটিএম বুথ খোলা রাখা যাবে। রোগী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে রেড জোনে স্থানীয়ভাবে ২৪ ঘণ্টা নমুনা সংগ্রহের জন্য পর্যাপ্ত বুথ স্থাপন করা হবে।

করোনা সংক্রান্ত মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. হাবিবুর রহমান খান গণমাধ্যমে বলেন, সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রেড জোনে লকডাউন কার্যকর হচ্ছে। বিশেষ করে একটি এলাকা চিহ্নিত করে সেখানকার প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে কতজন মানুষ আক্রান্ত রয়েছে, সেই অনুযায়ী রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে সেটি পড়ছে। রেড জোন ঘোষণা এলাকা সম্পূর্ণ ব্লক থাকবে। সেই এলাকায় কেউ ঢুকবেও না, কেউ বেরও হবে না। তবে, সেসব এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব জিনিসের দরকার হবে তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। রাজাবাজার লকডাউনে বিভিন্ন নিত্যপণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকায় প্রতি এক লাখে যদি ৩০ জন বা এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয় তবে সেটাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। তিন জনের বেশি কিন্তু ৩০ জনের কম থাকলে সেই এলাকাকে ইয়েলো জোন এবং এক বা দুজন বা কেউ না থাকলে সেটাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আড়াই মাসে ডেঙ্গুতে ২০ মৃত্যু, পরিস্থিতি আরও খারাপের শঙ্কা
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
রাষ্ট্রায়ত্ত চারটিসহ ৯ ব্যাংক রেড জোনে
তদন্ত প্রতিবেদন ৩ মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ 
X
Fresh