কঠোর নির্দেশনা দিয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত অফিস ও গণপরিবহন খুলে দেয়া হলো
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সাধারণ ছুটি আর না বাড়িয়ে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত পরিসরে নানা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব তৌহিদ ইলাহী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই সময়ে শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেলে যাতায়াত করতে পারবে। তবে সর্বাবস্থায় মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হলো-
এক জেলা হতে অন্য জেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রতি জেলায় প্রবেশ ও বহির্গমন পথে চেকপোস্টের ব্যবস্থা থাকবে। জেলাপ্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এ নিয়ন্ত্রণ সতর্কভাবে বাস্তবায়ন করবে। এই সময় জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। রাত ৮:০০ টা হতে সকাল ৬:০০ টা পর্যন্ত খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না।
নিষেধাজ্ঞাকালীন জনসাধারণ ও সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
দোকান-পাটে, বাজারে কেনা বেচার সময় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে।এছাড়া শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটবাজার, দোকানপাট এবং শপিংমলসমূহ অবশ্যই বিকাল চারটার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কাজে নিয়োজিত সংস্থা এবং জরুরি পরিসেবা, যেমন-ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থল বন্দর, নদীবন্দর এবংসমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবারসঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা-বহির্ভূত থাকবে।
সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল প্রভৃতি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।
দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়া হয়। পরে ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। ছুটি তৃতীয় দফা বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এবং চতুর্থ দফায় ছুটি বাড়ানো হয় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। পঞ্চম ধাপে ২৬ এপ্রিল থেকে ০৫ মে পর্যন্ত ও ষষ্ঠ দফায় ৬ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। আর সর্বশেষ ১৭ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়।
এমকে
মন্তব্য করুন